তরুণ অভিনেতা ‘দিব্যজ্যোতি দত্ত’ (Dibyojyoti Dutta) বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে সূর্য চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের একাংশের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। সূর্য ও দীপার রসায়ন বাংলা সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছে অনেকটাই প্রিয় ছিল একটা সময়। বর্তমানে সৃজিত মুখার্জির ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ (Lawho Gouranger Naam Re) ছবিতে ‘শ্রীচৈতন্যে’র পাঠ করছেন তিনি। তবে শুধুমাত্র অভিনয় নয়, বাস্তব জীবনেও দিব্যজ্যোতির একাধিক গুণ রয়েছে। কি কি বিশেষ গুণ রয়েছে অভিনেতার?
অভিনয়ের পাশাপাশি নিউট্রিশন নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। অভিনয়ের বাইরে তাঁর বিশ্বাসের জগতটাও যথেষ্ট গভীর। দিব্যজ্যোতি শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও ভীষণ ধার্মিক। শিব এবং কৃষ্ণের প্রতি রয়েছে তাঁর অকুণ্ঠ ভক্তি। একটানা শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলেও নির্জলা একাদশী বা শিবরাত্রিতে উপবাস রাখতে দেখা যায় তাঁকে। বাড়ি ফিরে শিবের মাথায় জল ঢালার রীতিও পালন করেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁর বিশ্বাস, ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি মানুষকে ভিতর থেকে আলোকিত করে তোলে।
আর এই বিশ্বাস থেকেই তিনি নিয়মিত উপবাস ও পুজো পাঠ করে থাকেন। আমরা সাধারণত দেখি, শিবরাত্রি বা নির্জলার মতো ব্রত মূলত মেয়েরাই পালন করেন। আবার ভালো বর পাওয়ার আশায় এই ব্রত রাখেন বহু নারী। ছেলেরা সেখানে তুলনামূলকভাবে কমই এগিয়ে আসে। কিন্তু দিব্যজ্যোতির ভাবনা একেবারে আলাদা। তাঁর মতে, ভক্তির কোনও লিঙ্গভেদ হয় না। যে কেউ যেকোনও ব্রত পালন করতে পারে, তা সে ছেলে হোক বা মেয়ে।
শুধুমাত্র সামাজিক রীতিনীতির জন্য পুরুষেরা পিছিয়ে থাকবে—এই ভাবনায় বিশ্বাসী নন তিনি। এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে দিব্যজ্যোতি একবার বলেছিলেন, “আমি যাঁর স্বামী হব, তার জন্য আমি যেন শিবের মতো হতে পারি—এইটাই কাম্য। আমার কাছে মহাদেব শুধু মহিলাদের ঈশ্বর নন, তিনি সকলের। তাই এই বিশ্বাস থেকেই আমি শিবরাত্রির ব্রত রাখি। এটা আমার আত্মিক শান্তির জন্য।” তাঁর এই মানসিকতা নিঃসন্দেহে সমসাময়িক প্রজন্মের কাছে এক ইতিবাচক বার্তা।
আরও পড়ুনঃ “বড়দের সব কথা মানতে পারি না, তাই বলে কদর্য ভাষায় আক্রমণও করি না!” “তোমরা কে ওনার ভুল বিচার করার?” — মমতা শঙ্করের পাশে দাঁড়িয়ে জেন-জি-কে প্রশ্ন সুদীপার! প্রজন্মকে ধমক নয়, যুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি!
দর্শকদের কাছে একদিকে যেমন দিব্যজ্যোতি একজন দায়িত্ববান অভিনেতা, অন্যদিকে তেমনই একজন আত্মবিশ্বাসী এবং বিশ্বাসযোগ্য মানুষ। ছোটপর্দার সূর্য হয়তো শুধুমাত্র একটা চরিত্র, কিন্তু দিব্যজ্যোতির জীবনদর্শন যে বাস্তব জীবনের সূর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তার এই ভাবনা আমাদের শিখিয়ে দেয়—ভক্তি কখনও একপাক্ষিক হয় না, এবং বিশ্বাস সবসময় অন্তর থেকেই আসে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।