হে ঈশ্বর আমাকে দীপার কাছ থেকে মুক্তি দাও! নিজের মাথাতেই শান্তির জল ঢালল সূর্য! আসছে রোমহর্ষক পর্ব

বার বার মিল হতে যেয়েও মিল হচ্ছে না সূর্য-দীপার। আর তারজন্য দর্শকরাও এবার বেশ খেপে উঠল। বেশ কিছু মাস ধরেই অপেক্ষায় আছে সকলে, কবে তাদের মিল হবে। কিন্তু লেখক কিছু না কিছুভাবে তাদের মিল আটকে দিচ্ছে আর গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বহুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে, এক হতে চলেছে সূর্য-দীপা। আর তা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র তাদের সন্তান সোনা-রূপার দরুন। আসতে চলেছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মহাপর্ব। ফের সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছে সূর্য-দীপা। নতুন করে সংসার শুরু হতে চলে চলেছে সূর্য-দীপা-সোনা-রূপার।

সম্প্রতি কিছু পর্ব এরূপ ইঙ্গিত দিলেও ফের একই জায়গায় চলে আসছে এই ধারাবাহিকের গল্প। দুজনের এতো বছরের ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটতে ঘটতেও যেন ঘটছে না। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই নতুন অধ্যায়ের দিকে এগোতে চলেছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। এটাও শোনা যাচ্ছে বড় লিপ নিতে পারে এই ধারাবাহিক। আর সেখানেই বড় হয়ে যাবে সোনা-রূপা। তাদের নিয়েই নতুন ভাবে পথ চলা শুরু হতে চলেছে। যদিও অফিসিয়ালি এখনও সঠিক কিছু জানা যায়নি। তবে সূর্য এবার সকল সত্য জানতে পারবে।

রূপা-সোনা দুজনের মনেই এখন নিজের মা – বাবাকে একসাথে দেখার ইচ্ছা। রূপা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছে, সূর্যই তার বাবা, সোনা তার বোন। এবার শুধু সূর্যের কিছু সত্যের মুখোমুখি হওয়া বাকি রয়েছে। খুব শীঘ্রই সূর্যও সকল সত্যের মুখোমুখি হবে। বিবাহবার্ষিকীর দিন সোনা-রূপার ইচ্ছায় আবার সূর্য-দীপার বিয়ে হতে চলেছে। এতদিন যে ভুল বোঝাবোঝির জন্য ডিভোর্স পর্যন্ত চলে গিয়েছিল তারা। এবার সোনা-রূপার দরুন আবার এক হতে চলে তারা। সূর্য-দীপার বিবাহবার্ষিকীর দিন সোনা তার বাবা সূর্যকে পিঁড়িতে বসিয়েছে বিয়ে দেওয়ার জন্য।

বিয়ে কার সঙ্গে? সূর্য তাকে প্রশ্ন করলে সোনা জানায়, তার সঙ্গে ফুলমা অর্থাৎ দীপার বিয়ে দেবে সে। তখনই রূপার হাত ধরে দীপা গৃহে প্রবেশ করে। দীপাকে তারা টেনে সূর্যের পাশে বসায়। সকলে মাথায় একটাই কথা চলে, এতদিন যাদের এক করানো সম্ভব হল না, আজ খুদে সন্তানরাই তাদের এক করতে চলছে। সকলের কথা মাথায় রেখে সূর্যও দীপার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে সামিল হয়। দীপা ভাবে, এই সুযোগ সে হাতছাড়া করবে না। সূর্য সোনা-রূপার কথা ভেবে চুপ থাকে কিন্তু পরে রেগে গিয়ে নিজের মাথায় নিজেই পুজোর শান্তিজল ঢালে।

সে দীপাকে বলে সেখান থেকে চলে যাতে। সূর্যের মনে হয়, দীপাই তার অশান্তির কারণ। তাই সে তার থেকে মুক্তি চায়। শান্তিজল শান্তি করবে জেনে টি সে নিজের মাথাতেই তা ঢেলে ফেলে। অন্যদিকে, মিশকা দীপাকে বাজে বাজে কথা শোনালে রূপা মিশকার উপর রেগে যায় ও তাকে বলে সে যদি আর কোনো বাজে কথা শোনা তাহলে রূপা লাবন্যকে বলে দেবে সে। সেই কথা শুনে ভয়ে পেয়ে সেখান থেকে মিশকা চলে যায়। সূর্য-দীপার জীবন কোন দিকে এগোতে চলে চে, এবার তাই দেখার অপেক্ষায় দর্শক।