মহালয়া বাঙালির ইমোশন। পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা হয় মাতৃপক্ষের। মহালয়াকে শুভ বলা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। তবে মহালয়া শুভ অশুভর থেকে বেশি বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মহালয়াকে ঘিরে বাঙালির আবেগ আকাশ ছোঁয়া।
বাঙালি বছরে একবার এই দিনটিতে নিজেদের পুরনো রেডিওগুলিকে সারিয়ে ছেড়ে মুছে টেবিলের ওপর সযত্নে রেখে দেয়। প্রত্যেক বছর মহালয়ার সকালে এই রেডিওতেই ভেসে ওঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চণ্ডীপাঠ। আবেগে ভাসে বাঙালি। তবে টেলিভিশনের সৌজন্যে এখন শুধুমাত্র আর রেডিওতে শোনা নয় চোখে দেখাও যায় মহালয়া।
আগে দূরদর্শনের পর্দায় ঐতিহ্যবাহী মহালয়া দেখা যেতো। তবে এখন নাচ গান ঢুকে গিয়ে এক জমাটি আয়োজন। চলতি বছরের মহালয়াতে তো ব়্যাপ সং পর্যন্ত শোনা গেল। ভূতেদের নাচ দেখা গেল। ব়্যাপ মিউজিকে শোনা যাচ্ছে ‘ঘাওড়ি ঘিচা ঘিচকি ঘিচা।’ আর যা শুনে হেসে খুন নেট পাড়া।
স্টার জলসা এবং জি বাংলায় এই বছর মহা ধুমধামে আয়োজন করা হয়েছিল মহালয়ার। তবে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হল স্টার জলসার মহালয়াকে। এই বছর জলসার মহালয়ায় মা দুর্গা হয়েছিলেন কোয়েল। সঙ্গে মহাদেবের ভূমিকায় রণজয় বিষ্ণু। অনুষ্ঠান সম্প্রচার হতেই শুরু হল নেটপাড়ায় নানা ধরণের ট্রোলিং।
শিবের বেশে রণজয়কে দেখা গেল সারা মুখে মেকআপ করে উত্তাল নাচতে। সে আর বিচিত্র নাচ। নিজের বিয়েতে ভূতেদের বরযাত্রী করে নিয়ে এসে শ্বশুরবাড়ির সামনে সে এক দুর্নিবার নাচ মহাদেবের। হবু বরের এইরকম নাচ দেখে থ স্বয়ং দুর্গা। আর যা দেখে হাসতে হাসতে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবারেও মহালয়া দেখে বিভিন্ন মিম-এর ছড়াছড়ি। বর্তমানে বাংলা চ্যানেলগুলির মহালয়াগুলো কার্যত মিমের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।
View this post on Instagram