বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় অনেক খলনায়িকাই এসেছেন এবং গেছেন। এর মধ্যে কিছু কিছু জন দারুণ রকম ভাবে মনে দাগ কেটেছেন। আর তার মধ্যে অন্যতম হলো অভিনেত্রী অহনা দত্ত (Ahona Dutta)। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এই অভিনেত্রী বাংলা টেলিভিশনে দুনিয়ায় নিজের আধিপত্য কায়েম করেছেন।
স্টার জলসার সফল ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়ার সফল খলনায়িকা তিনি।খল চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছেন তিনি। এটিই তার প্রথম ধারাবাহিক। নাচের মধ্যে দিয়েই পরিচিতি পেয়েছিলেন অহনা। এই নাচই ছিল তার প্রথম প্রেম। আর সেই নাচই তাকে এনে দিয়েছিল নায়িকা চরিত্রের প্রস্তাব। আর এই চরিত্রটায় তিনি যথার্থ। তার অভিনয় ভীষণভাবে দর্শকদের পছন্দ হয়েছে।
তবে খলনায়িকা হিসেবে তিনি যে দর্শকদের কাছ থেকে শুধু গালাগালি পান এমনটা নয়, সমানভাবে তিনি ভালোবাসাও পান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ধারাবাহিকে দেখানো কোর্টরুম ড্রামায় দর্শকরা তার কাজের প্রশংসা করেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি কখনও ভাবতেই পারেননি ভক্তদের কাছ থেকে তিনি কখনও সহানুভূতি, সমর্থন পাবেন।
মিশকার চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, মিশকা সারা জীবন আমার সঙ্গে থেকে যাবে। আমায় অনেকেই গালমন্দ করেন আমি জানি কিন্তু এতে আমি ভীষণ আনন্দ পাই। অনেকে আমার অভিনয়ের প্রশংসাও করেন। আর এই দুটোই আমার বড় প্রাপ্তি।
বাস্তবজীবনে অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের মেকআপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর দে’র সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। যদিও এই সম্পর্ক মেনে নেননি অভিনেত্রীর মা। কারণ দীপঙ্কর ডিভোর্সি! আর অনুরাগের ছোঁয়ার সূর্যও কিন্তু দুই সন্তানের বাবা। অভিনেত্রীর কথায় নিজের ভালোবাসাকে পাওয়ার জন্য মিশকার মতো ডেসপারেট না হলেও তিনি কিন্তু মিশকার মতোই জেদি। হঠাৎ যেটা চাই সেটা চাইই। আর সেটা যদি তার নিজের জন্য ভালো হয় তাহলে তো কথাই নেই।
কিন্তু সূর্য তো তাকে সম্মান করে না। প্রতি পদে অপমান করে সেই রকম ভালোবাসা কী অহনা চান? এর জবাবে অভিনেত্রী বলেন যে ভালোবাসায় সম্মান নেই সেই ভালোবাসা তিনি চান না। অভিনেত্রীর কথায় অবহেলা সহ্য করিনা। যদিও তিনি স্পষ্ট করে দেন মিশকা এতই বাজে বাজে কাজ করেছে যে সূর্যর এই অবহেলা তার প্রাপ্য।
এই মুহূর্তে অনরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাক অনুযায়ী সন্তান সম্ভবা অহনা। এই বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘বেবিবাম্প নিয়ে অভিনয় করাটা বেশ কষ্টকর। আমার কোমর ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। আসলে আমার স্পন্ডেলাইসিস আছে। আর তাই বেশি সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আসল বেবিবাম্পের অনেক বেশি ওজন হয়। তখনই বুঝতে পারি মায়েদের কষ্টটা।’