জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, মালা মুখার্জী বাড়িতে বউ হয়ে ঢোকার পর ঘর থেকে বার করে দিয়েছে উৎসবের বৌ মেহেন্দিকে। এমনকি গোটা পরিবারটাকে সে নিজের হাতের মুঠোতে নিয়ে চলে এসেছে। কৌশিকী ও সব সময় তার সঙ্গে পেরে ওঠে না কিন্তু জগদ্ধাত্রীর হাতে জব্দ হয় মালা,যতবারই সে নতুন কিছু প্যাঁচ কষে ততবারই জগদ্ধাত্রী বুঝতে পারে সবটা আসলে সাজানো।
Jagaddhatri 31 august episode / জগদ্ধাত্রীর ৩১ আগস্টের পর্ব
আজকের পর্বের শুরুতে দেখা যায় যে দেবু দাকে বারবার প্রশ্ন করতে থাকে জগদ্ধাত্রী জিজ্ঞেস করে চুপ করে থাকবেন না দেবুদা আপনি আমাকে সত্যিটা বলুন না হলে কিন্তু মুখার্জী পরিবারে অনেক বড় ঝড় আসবে, সেখান থেকে আমি কাউকে বাঁচাতে পারবো না, প্লিজ দেবুদা মুখ খুলুন। তখন দেবু ঠিক করে মালার ব্যাপারে সব সত্যি সে বলে দেবে জগদ্ধাত্রীকে। কিন্তু সেই মুহূর্তে দেখা যায় প্রীতি ঘরে চলে এসেছে এবং সে তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছে না!
তখন প্রীতি শিবানীকে জিজ্ঞেস করে, আমার মেয়ে কোথায় গেল? তোকে যে বলেছিলাম ওর কাছে থাকতে। তখন শিবানী বলে আমিও তো বুঝতে পারছি না কোথায় গেল? প্রীতি তখন বলে, মানেটা কি! আমার মেয়ে কি হাঁটতে পারে? যে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাবে কোথাও! দেবুদা যখন মালার বিষয় বলতে যাবে তখন জগদ্ধাত্রীর ফোনে ফোন আসে। ফোনে প্রীতি বলে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জগদ্ধাত্রী সবটা দেবুদাকে বললে দেবুদা খুব ভয় পেয়ে যায় আর সাধু বটব্যাল থেকে শুরু করে জগদ্ধাত্রীকে বলতে থাকে, প্লিজ আমার মেয়েকে খুঁজে এনে দাও। জগদ্ধাত্রী বলে আপনার মেয়েকে আমরা খুঁজে এনে দেবো প্লিজ আপনি অস্থির হবেন না শান্ত হন। ইতিমধ্যে মালা প্রীতির মেয়েকে নিয়ে চলে আসে প্রীতি তখন জিজ্ঞেস করে আমার মেয়েকে নিয়ে তুমি কী করছিলে? মালা বলে, ছোট মেয়ে তাই ভাবলাম একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।
জগদ্ধাত্রী ফোনে ছিল বলে সে সবটা শুনতে পেয়ে যায়,সে বুঝতে পারে সবকিছু মালার প্ল্যান। অন্যদিকে দেবুদা ভয় পেয়ে যায় আর সে মুখ খোলে না। ওদিকে বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের মিটিংয়ে দেখা যায়, নতুন এমডি হিসেবে কেউ স্বয়ম্ভুকে মানতে চায় না। কৌশিকী মুখার্জী এবং রাজনাথ মুখার্জীর কথাতেও কেউ গুরুত্ব দেয় না। এর মধ্যে দেখা যায় অফিসে ঢোকে বৈদেহি, উৎসব ও মালা।
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে এবার প্রতিবাদে সোচ্চার সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল! বিচার চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত গায়িকার
মালাকে দেখে অফিসের অন্যান্যরা বলতে থাকে, ওনার জন্যই তো আমরা অপেক্ষা করছিলাম। উনি তো আমাদের নতুন এম ডি। আমরা তো অলরেডি আমাদের শেয়ার ওনার নামে লিখে দিয়েছি। কৌশিকী সকলকে বোঝাতে থাকে যে এমনটা করবেন না। তাহলে আমাদের সকলকে পথে বসতে হবে কিন্তু কেউ তার কথা শোনে না। এরমধ্যেই জগদ্ধাত্রী অফিসে চলে আসে আর তাকে দেখে শান্ত হয় কৌশিকী, বুঝতে পারে জগদ্ধাত্রী এবার কিছু একটা ঘটাবে।