দুটোই ধা’ন্দাবাজ, স্বা’র্থপ’র! অনির্বাণ-নীলু দুটোরই মাথার চিকিৎসার প্রয়োজন!রাই-শৌর্য্যর মিল চাইছেন দর্শকরা

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা ( Mithijhora ) ছিল তিন বোনের গল্প। অথচ অদ্ভুতরকম ভাবে গল্পে তিন বোনের চরিত্র তিন ধরনের, বড় বোন পরিবারের জন্য হাসতে হাসতে নিজের ভালোবাসাকেও ত্যাগ করে দিতে পারে, ছোট বোন তো অন্যায়কে কখনই সমর্থন করে না। মেজো বোন নীলু, সে এই দুই বোনের মতোই নয় সে স্বার্থপর এবং লোভী নিজের স্বার্থের বাইরে গিয়ে সে কিছুই ভাবতে পারে না।

যে বড় দিদি মেজ বোনের আর কখন‌ও বিয়ে হবে কিনা এই চিন্তায় অস্থির হয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় নিজের বোনের এবং নিজের বোনের সুখী জীবন গড়ে তুলতে নিজের চরিত্রে স্বেচ্ছায় দাগ লাগায়, সেই দিদি অসুস্থ জেনে মেজ বোন নীলু নিজের দিদির খোঁজ নেয় না, পরিবর্তে জানতে চায় তার বর কেন সেখানে রয়েছে? কেন সেখানে এতক্ষণ ধরে আছে! কীভাবে সে খবরটা পেল! নীলু চরিত্রের এই সন্দেহবাতিক বিষয়টা বুঝতে পেরে শৌর্য্য তাকে কথা শোনায়।

Aratrika Maiti

কিন্তু চরিত্রটা এতটুকু শোধরায় না। সে প্রত্যেকটা মুহূর্তে নিজের বরের সাথে ছলাকলা করে চলে,কেন? তাকে ভালোবেসে নিজের কাছে ধরে রাখার জন্য নয়! বরং নিজে একটা সুন্দর ও বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করবে বলে। সে তার বাপের বাড়ির মতো মধ্যবিত্ত জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে চায় না , সে গরীবের মতো বাঁচতে চায় না , সেই কারণে তার বর শৌর্য্য তার কাছে শুধুই একটা ম‌ই, যাকে ধরে সে উপরে উঠতে পারে, ভালো জীবনযাত্রা উপভোগ করতে পারে।

দর্শকদের মধ্যে অনেকেই ভেবেছিলেন দুজনের ডিভোর্স দেখানো হচ্ছে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা দেখানো হবে বলে। শৌর্য্য তো নীলুকে মন থেকেই মেনে নিয়েছিল কিন্তু নীলুর মধ্যে যে হিংসুটে ব্যাপারটা ছিল সেই বিষয়টা হয়তো মিটে যাবে এই ট্র্যাকের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু দর্শকরা হতবাক হয়ে যান যখন রাইয়ের অসুস্থতা শুনে নিজেকে পরিবর্তন করার বদলে এই রোগে কত টাকা খরচ হতে পারে সেটা বুঝে নীলু ভাবে তার চাওয়া টাকার পরিমানটা অনেক কম! কারণ তার যদি এরকম কোন রোগ হয় তখন তো তার সব টাকা খরচ হয়ে যাবে!

এরপর নীলু ভাবতে থাকে সে টাকার পরিমাণ পরিবর্তন করবে নাকি শৌর্য্যর সাথেই থেকে যাবে?! অর্থাৎ বরের প্রতি ভালোবাসা নয় নিজের জীবনের সুখের কথা চিন্তা করাটাই তার চরিত্র। যা দেখে দর্শকদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন অনির্বাণ যেমন মানসিকভাবে অসুস্থ তেমনি মানসিক অসুস্থতা রয়েছে নীলুরও। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“নীলুর মনে শৌর্যের জন্য যে কানাকঞ্চি পরিমাণেও ভালোবাসা নেই, তা ২০০ পর্বে এসে আবার প্রকাশ পেলো…ডিভোর্সের কাহিনী শুরু হওয়ার পরে আমার মনে ক্ষীণ আশা ছিলো, হয়তো শৌর্যের প্রতি নীলুর ফিলিংস একটু হলেও প্রকাশ পাবে…”

আরও পড়ুন: আর‌ও বিপাকে অরিন্দম! পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌ’ন হেনস্থার অভিযোগ, দায়ের হল এফআইআর

ঐ দর্শক তার বক্তব্যে আর‌ও লিখেছেন যে ধারাবাহিকের সাম্প্রতিকতম পর্ব তাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। ঐ দর্শকের কথায়, “কিন্তু আমাকে ভুল প্রমাণ করে রাইয়ের অসুখ দেখে নীলু ভাবছে দেড় কোটি টাকা চাওয়াটা কম হয়ে গেলো কীনা…অনির্বাণের পাশাপাশি নীলুরও মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন…ওর মানসিক স্থিরতা আসা অত্যন্ত জরুরী…নাহলে নিজেও শান্তিতে থাকবে না আর অন্যকেও থাকতে দেবে না…”

Back to top button