কিউসেক যখন হয়ে গেল কুইন্টাল! ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে,’ দিদি নং ১ রচনার কথা শুনে ঘাবড়ে ঘ গ্রামবাসীরা

টেলিভিশন প্রেমী বাঙালি কিন্তু ফিকশন শো গুলোর পাশাপাশি নন ফিকশন শো গুলির‌ও দারুণ ভক্ত। বাঙালি দর্শকদের কাছে ভীষণ রকমের জনপ্রিয়। বলাই বাহুল্য এই শোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নন ফিকশন শো হল জি বাংলার পর্দায় চলা দিদি নাম্বার ওয়ান। এই শোটির সঞ্চালিকা একদা বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)। অভিনয়ের পাশাপাশি সঞ্চালনাতেও তিনি যে দুরন্ত তার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন তিনি।

বলাই বাহুল্য, মধ্য চল্লিশের এই অভিনেত্রীর সৌন্দর্য্যে আজও মজে বাঙালি। শুধু কি সফল অভিনেত্রী? সঞ্চালনা তার পাশাপাশি এখন তো সফল ব্যবসাদার তিনি। চলতি বছর থেকে আবার রাজনীতিক‌ও। সদ্য‌ই তার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে রাজনীতি রাঙিনায়। তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। নিজের বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বারবার সমালোচিত হয়েও অদ্ভুতভাবে নিজের একদা সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে তৃণমূলের টিকিটে হুগলি কেন্দ্র থেকে জিতে যান তিনি।

কিন্তু এতগুলো মাস কেটে গেলে ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেফাঁস মন্তব্য করা বন্ধ হল না।হুগলির বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফের একবার উল্টোপাল্টা কথা বলে হাসির খোরাকে পরিণত হলেন দিদি নাম্বার ওয়ান। দোষারোপের ক্ষেত্রে নিজের রাজনৈতিক আদর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ফলো করেন রচনা। যেরকম বাংলার বন্যাকে মেন মেড বন্যা বলে দাগিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই একই আওয়াজ রচনার গলাতেও।

হুগলি পরিদর্শনে গিয়ে এদিন তিনিও ডিভিসিকে দোষারোপ করেন। কিন্তু এর পরেই জলের পরিমাপ গোনার একক গুলিয়ে যায় তার। কিউসেক জল হয়ে যায় কুইন্টাল! অভিনেত্রী বলে ওঠেন, ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষ বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। সবাই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। আর ওরা বলছে জানিয়ে জল ছেড়েছে! অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে ভরকে যান অনেকেই। অভিনেত্রী বলেন, যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয়ে বলেছেন সেই বিষয়ে আমি আর আলাদা করে কিছু বলব না।

আরও পড়ুন: স্বয়ম্ভু ও জগদ্ধাত্রীর ডুয়েল চাল! কাকলি দেবীর খেল খতম, উৎসবের বিয়ের আগেই পর্দা ফাঁস?

যদিও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এমন কথা শুনে রীতিমতো হাসির বন্যা বয়ে গেছে। এর আগেও একাধিকবার ভুলভাল কথা বলেছে তিনি। এই বিষয়ে বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিউজিয়ামে রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে। কেউ কেউ আবার তাকে তার ছেলের সঙ্গে নতুন করে পড়াশুনা শেখার উপদেশও দিয়েছেন।