কলকাতার বিনোদন জগতে রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra) একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নাম। মডেলিং দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করে, তিনি দ্রুত চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চ্যাম্প’, ‘কবীর’, এবং ‘কিডন্যাপ’। তার অভিনয় প্রতিভা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে একটি শক্তিশালী স্থান অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী স্টার থিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’ রাখা হবে, যা ১৯শ শতাব্দীর প্রখ্যাত অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। বিনোদিনী দাসী, যিনি ‘নটী বিনোদিনী’ নামে পরিচিত, বাংলা থিয়েটারের প্রথম স্বীকৃত অভিনেত্রী ছিলেন এবং তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয়।
বিনোদিনী দাসীর জীবন সংগ্রাম এবং সাফল্য নারীদের শক্তি এবং সহনশীলতার প্রতীক। তিনি সমাজের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও থিয়েটারে তার স্থান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং নারীদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তার জীবন কাহিনী নারীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যা প্রমাণ করে যে সংকল্প এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে সমস্ত বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
রুক্মিণী মৈত্র, যিনি বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন, বিশ্বাস করেন যে নারীরা ঋতুকাল থেকে মাতৃত্ব পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে যন্ত্রণা সহ্য করে, যা তাদের পুরুষদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে। তিনি মনে করেন, স্টার থিয়েটারের নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে বিনোদিনী দাসী সম্মানিত হয়েছেন এবং তার প্রতি করা ঐতিহাসিক অন্যায়ের সংশোধন হয়েছে। রুক্মিণীর আশা, এই সম্মানের মাধ্যমে বিনোদিনীর আত্মা শান্তি পাবে এবং তার অভিশাপ প্রত্যাহার হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘অবশেষে হাতে পড়ল হ্যান্ডকাপস!’ কারাগারে বন্দী হবে সার্থক! জমজমাট ‘শুভ বিবাহ’র আগাম পর্ব
এই ঘোষণার পর, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন স্টার থিয়েটারের পুরনো সাইনবোর্ড সরিয়ে নতুন ‘বিনোদিনী থিয়েটার’ সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। এই পরিবর্তনটি শহরের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।