‘নারীকেন্দ্রিক ছবি তবে, এই ছবি দেখে পুরুষরাই বেশি কেঁদেছে’, রুক্মিণীকে বিনোদিনী রূপে দেখে আবেগ সামলাতে পারলেন না দেব!

ভারতীয় অভিনেত্রী এবং মডেল হিসেবে সুপরিচিত রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। তিনি প্রাথমিকভাবে বাংলা সিনেমায় কাজ করেন। ২০১৬ সালে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত চ্যাম্প দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন রুক্মিণী। তার অভিনয় এবং পর্দায় উপস্থিতির জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। রুক্মিণী বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে তার ভূমিকার জন্য পরিচিত, এবং তিনি মডেলিংয়ের মতো অন্যান্য সৃজনশীল ক্ষেত্রেও কাজ করেছেন। তার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি, তিনি বাংলা বিনোদন শিল্পে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।

“নারীকেন্দ্রিক ছবি তবে, এই ছবি দেখে পুরুষরাই বেশি কেঁদেছে” – বিনোদিনী ছবি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন রুক্মিণী। একটি নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের মধ্যে পুরুষদের সংবেদনশীলতা ও আবেগের যে গভীরতা রয়েছে, তা অনেক সময় উপেক্ষিত থাকে। সাধারণভাবে, নারীকেন্দ্রিক ছবি মানেই প্রচলিত সামাজিক ধারণা অনুযায়ী মেয়েদের প্রতি কিছু অতিরিক্ত সহানুভূতির দাবি করা হয়ে থাকে। কিন্তু, সঠিকভাবে নির্মিত নারীকেন্দ্রিক ছবিগুলি সমাজের প্রতিটি শ্রেণী ও লিঙ্গের জন্য একইভাবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে।

rukmini-noti-binodini-dev_cleanup

রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত বিনোদিনী ছবিটি একটি ঐতিহাসিক ড্রামা, যা মূলত ১৯শ শতকের কলকাতার বিখ্যাত অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসীকে কেন্দ্র করে তৈরি। এই সিনেমার গল্প বিনোদিনীর জীবনের প্রেক্ষাপটে, যিনি একসময় তার অভিনয়ের জন্য কলকাতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এবং তিনি ছিলেন নাট্যশিল্পী নাট্যমঞ্চের এক অঙ্গ। সিনেমাটি তার সংগ্রাম, সাহসিকতা এবং ব্যক্তিগত জীবনের যন্ত্রণা তুলে ধরে, পাশাপাশি সে সময়ের সমাজের নারীবাদী অগ্রগতি, শিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গেও সম্পর্কিত।

রুক্মিণী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিনোদিনী শুধু একটা চরিত্র নয়, এটা আমার জন্য একটা আবেগ। তার সংগ্রামের গল্প আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।” তার এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, শিল্পীদের জন্য কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং চরিত্রের সঙ্গে মানসিকভাবে সংযোগ স্থাপন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ছবি বিনোদিনীর আত্মবিশ্বাস, নারী অধিকার এবং তার পেশাগত জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো চিত্রিত করে।

আরও পড়ুনঃ সঞ্চিতার জ্ঞান ফিরতেই পর্দা ফাঁস চিত্রার! ষড়যন্ত্রের মুখোশ খুলবে এবার?

রুক্মিণীর কথায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা হল যে ছবির মূল কাহিনী এবং চরিত্রগুলির মধ্যে যে আবেগের জোর থাকে, তা পুরুষদের মধ্যেও একটি গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পুরুষরা, যদিও ঐতিহ্যগতভাবে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশে কিছুটা বাধাগ্রস্ত থাকে, তবুও নারীর সংগ্রাম ও সহানুভূতির গল্প তাদেরও স্পর্শ করতে পারে। এমন ছবিগুলি, যেখানে নারীরা তাদের স্বতন্ত্র অবস্থান প্রতিষ্ঠা করে বা তাঁদের জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায়, তা পুরুষ দর্শকদের মধ্যে অনুভূতির ঝড় তুলতে সক্ষম। এ ধরনের ছবি শুধুমাত্র নারীদের একক গল্প নয়, বরং মানবিক সংগ্রাম, সহানুভূতি এবং সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরে, যা সকলকে একযোগভাবে প্রভাবিত করে।