শিব যেমন কালিকে সন্তুষ্ট করতে পায়ের তলায় শুয়ে পড়ে কাঞ্চন ও ঠিক তাই! ওই আমার শিব! অকপট শ্রীময়ী

এই মাসেই পূর্ণ হয়েছে বিয়ের এক বছর তবে সম্পর্কের প্রথম দিন থেকেই সমাজমাধ্যমে অতি চর্চিত জুটি এনারা। হ্যাঁ, কথা বলছি উত্তরপাড়া বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এবং অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ এর বর্তমানে এনাদের আরও একটি পরিচয় আছে, এনারা আখন ছোট্ট কৃষভির মা-বাবা। প্রেম থেকে বিয়ে এনাদের সম্পর্কের পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ ও অ্যাডভেঞ্চার তা অবশ্য নিজেরাই ভাগ করে নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

সাক্ষাৎকার উঠে এসেছে প্রেম জীবনের প্রথম আলাপ থেকে শুরু করে দাম্পত্য জীবনের ছোট বড় মুহূর্ত তেমন দুজনের আধ্যাত্মিক চর্চা। মোটর বাইকে চাপতে শ্রীময়ীর বরাবরই বড্ড ভয় এবার কাঞ্চন না চাইলেও জোর করে তিনি মহাকুম্ভে নিয়ে যান এবং সেখানে গিয়ে মোটরবাইকে চাপতে হলে তিনি কাঞ্চনের কাঁধে মাথা রেখেছিলেন মোটর ভাইকে ভয় থেকেই তিনি নাকি নাকোচ করেছেন অতীতে বহু প্রেমিককে।

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন “আমরা দুজনেই ঈশ্বর এ বিশ্বাসী। কাঞ্চনের সঙ্গে যখন আমার প্রথম আলাপ তখন আমাদের দুজনেরই বয়স ছিল অনেক কম। কিন্তু সেই সময় অভিনেতা ছিলেন বিবাহিত। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কে তার সাজানো বাগান রয়েছে”। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরো বলেন “আমি বিবাহিত কাঞ্চনকেই ভালোবেসেছি এবং ১৪ বছর ধরে কাঞ্চন বাবারই পুজো করে এসেছি”

বিয়ের পর প্রথম শিবরাত্রি নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন “কাঞ্চনের সাথে আমার আলাপের পর প্রতিবছর কালীঘাট চত্বরে নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দিরে দুজনে যেতাম পূজো দিতে। কিন্তু এইবার শিবরাত্রি একটু অন্যরকম। এইবার বেনারস থেকে শিবলিঙ্গ এনেছি একেবারে যোগ্য করে প্রতিষ্ঠা করেছি এই বছরটা তাই মন্দিরে নয় বাড়িতেই শিবরাত্রি করবো।” এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী কে জানতে চাওয়া হয় শিবরাত্রি কি তিনি ছোট থেকেই করেন তাতে তিনি উত্তর দেন শিবরাত্রি তিনি ছোট থেকে করলেও কখনোই শিবের মত স্বামী পাওয়ার আশায় করেনি। কিন্তু কাঞ্চন অনেকটাই শিবের মতো। শিব যেমন বেল পাতায় সন্তুষ্ট, কাঞ্চন ও অনেক কমেই সন্তুষ্ট। অভিনেত্রী যাকে বলেন ‘মুখচোরা’।

শ্রীময়ী আরো বলেন শিব যেমন মা কালী কে সন্তুষ্ট করতে পায়ের তলায় শুয়ে পড়েন আসলে বাড়িতেও ঠিক তেমনি হয়। বাইরে কাঞ্চন যতই বড় মন্ত্রী হোক না কেন বাড়িতে তিনিই হোম মিনিস্টার কাঞ্চন সবসময়ই অভিনেত্রীর হাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে চলেন। শান্ত হলেও কাঞ্চন নাকি বড্ড অবাধ্য নিজের খাওয়ার অন্যকে খাইয়ে বাইরের খাবার খেতে তিনি বরাবরই ভালোবাসেন এতে অভিনেত্রী বলেন “আসলে শান্ত কিন্তু বড্ড অবাধ্য। এবার এক কথায় ক্ষমা চেয়ে নিতেও পারে, এরপর কি আর রেগে থাকা যায়!”

আরও পড়ুনঃ লাল টুকটুকে বউ সেজে বাগদান সারলেন অনন্যা-সুকান্ত, রাতে অফ শোল্ডার গাউনে উষ্ণতা ছড়ালেন অনন্যা!

কাঞ্চনের গুণ এবং সততাই এককালে আকর্ষণ করেছিল শ্রীময়ীকে এরপর তাদের বিবাহিত জীবনে আসে ছোট্ট কৃষিভী। মেয়েকে শিব পুজো শেখাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন “আমি কখনোই কারোর উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী নয়। তবে ছোটবেলা থেকেই আমিও বড় হয়েছি বাড়িতে পূজা পারতে। আমার মেয়েও তাই দেখবে ওর মা-বাবা দুজনেই ঈশ্বরের বিশ্বাসী। আর মানুষ তো তাই শেখে যা দেখে বড় হয় কৃষভির ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটাই হবে।”