রঞ্জিনী ও সেবন্তীকে জব্দ করতে এবার মোক্ষম চাল দিল শুভ! হাটে হাঁড়ি ভাঙল দুই শাশুড়ির! জমজমাট আজকের পর্ব!

স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh) ধারাবাহিকে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। শুভ ও আদৃতের সম্পর্ক যতই কেউ আলাদা করার চেষ্টা করুক, শুভ প্রতিবারই তা ভেঙে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক পর্বগুলোতে তাদের বন্ধন আরও গভীর হচ্ছে, যা দর্শকদের বেশ আনন্দ দিচ্ছে। এরই মধ্যে আরও এক বড় চমক এসেছে—শুভ মা হতে চলেছে! এই নতুন মোড় গল্পে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল তুঙ্গে।

বর্তমান এপিসোডে দেখা যাচ্ছে সেবন্তী, পূরবী ও অয়নাকে নিয়ে আলোচনা করছে শুভ তাকে জব্দ করতে এত তাড়াতাড়ি মা হওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সে তার বদলা নেবে। সেবন্তী বলে, “আমি শুভকে বাড়ির আর কোন কাজ করতে দেবো না একেবারে এক ঘরে করে দেবো।” অন্যদিকে শুভ এবং আদৃত ডাক্তার-খানা দিয়ে ফিরে এসেছে। সবাইকে বলছে সেখানে যা যা হয়েছে।

Grihoprobesh

সেবন্তী জিজ্ঞেস করে শুভ সব রিপোর্ট ভালো আছে কিনা। এই কথা শুনে আদৃতের বেশ আনন্দ লাগে যে তাঁর মা শুভকে নিয়ে এতটা ভাবছে। সেবন্তীকে এরপর বলতে দেখা যায় শুভকে ঘরে গিয়ে রেস্ট করতে। উপরে যেতে যেতে শুভ মনে মনে ভাবে, মাকে এভাবে শিক্ষা দেওয়া যাবে না। ওনাকে পদে পদে বুঝিয়ে দিতে হবে শুভ ছাড়া এই বাড়ির কি অবস্থা হয়। তারপর সে দেখে প্রমিত একা দাঁড়িয়ে কিছু একটা ভাবছে আর মনে মরে হাসছে।

শুভ তখন বলে, “কিরে প্রেমে টেম করছিস নাকি আজকাল?” প্রমিত উত্তরে বলে, “করছি কিন্তু, যাকে করছি তাকে কিছু বলতে পারিনি”। শুভ নামটা জানতে চাইলে সে জানায় “ঋতু”। শুভ তখন প্রমিতকে বলে, “আমাকে এই বাড়ির লোক এখনো মেনে নেয়নি। তুই একবার ভালো করে ভেবে দেখ তোর এই সম্পর্কের কথা যখনই বাড়ির লোক জানবে তখন অনেক বড় একটা ঝড় উঠবে”। প্রমিত বলে, “আমিও দাদার মতো ঋতুর পাশে সব সময় থাকবো। তুমি চিন্তা করো না”।

আরও পড়ুনঃ দেবার মৃত্যুর বদলা নিতে তৎপর আঁখি! প্রিয়রঞ্জনের খেলা শেষ করতে নতুন ফন্দি আটলো ঝিলিক! দুই শালিকে দমদার টুইস্ট!

রান্নাঘরে গিয়ে শুভ স্টেফেনীকে তিন দিনের ছুটি দিয়ে দেয়। স্টেফেনী এতে রাজি না হলেও পরে মেনে নেয়। এরপর পরের দিন কাকভোরে ঘুম থেকে তুলে দেয়। সেবন্তী রেগে গিয়ে বলে সে এমন কেনো করেছে। শুভ বলে, “আমার আসলে খুব চা খেতে ইচ্ছা করছে”। রঞ্জিনী বলে, “স্টেফেনীকে বানিয়ে দিতে বল’। শুভ বলে, “উনি তিন দিনের ছুটি নিয়েছেন”। সেবন্তী গিয়ে চা বানিয়ে আনলে শুভ বলে তার এখন কফি খেতে ইচ্ছা করছে।

এরপর কফিও বানিয়ে এনে দেওয়া হয়। শুভ আবার নাকচ করে বলে এবার তা লুচি আলুর দম খেতে ইচ্ছা করছে। সেবন্তী এবার রঞ্জিনীর উপর সবটা ছেড়ে দিয়ে বলে, “আমার একটা কাজ আছে লুচিটা বরং তুই করে দে”। রঞ্জিনী ভাবতে থাকে আচ্ছা জ্বালায় পড়া গেল। অন্যদিকে শুভর এই ফন্দি ঠাম্মি বুঝতে পেরে গিয়ে বলে, “শুভ তোর এই চালে একেবারে দুজনেই ঘায়েল হয়েছে”। আর এখানেই এপিসোডটি শেষ হয়।