টিআরপি বাড়লে আনন্দ তো হতেই পারে—তবে সেই আনন্দে উচ্ছ্বাস থাকলেও থাকছে না উশৃঙ্খলতা, এমনটাই বিশ্বাস রাখছেন ‘ভিডিয়ো বৌমা’র (Video Bouma) নতুন পরিচালক রূপক দে (Rupak De)। তিনি চান উদ্যাপন হোক, কিন্তু সেই উদ্যাপন হোক দায়িত্বপূর্ণ, মাটির কাছাকাছি। বলছেন, “চা কিংবা কফি দিয়ে উদ্যাপনেই আমি খুশি।” সদ্যই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সিদ্ধান্ত ওরফে ভিক্টো (Victo) দাসের জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন রূপক।
শান্ত অথচ আত্মবিশ্বাসী সুরে জানাচ্ছেন, ধারাবাহিক চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য। রূপকের কথায় স্পষ্ট, চারপাশে যে বিতর্ক ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে তিনি মাথা ঘামাতে নারাজ। বরং শুটিং ফ্লোরে পা দিয়েই কাজে মন দিয়েছেন পুরোপুরি। প্রথম দিন থেকেই শুটিং করেছেন সকাল-সন্ধে, ফোন ধরার সময় পর্যন্ত পাননি। পরিচালকের পরিবর্তনকে তিনি দেখছেন পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে। বলছেন, “পরিচালক বদল মানেই নতুন ভাবনা আসবে।
তবে খুব বড় বদল এখনই আনতে চাই না, আস্তে আস্তে ছাপ ফেলতে চাই।” ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও পরিষ্কার মত দিয়েছেন রূপক। তাঁর কথায়, ধারাবাহিকটি যাতে আরও বেশি দর্শকের মন জয় করতে পারে, সেদিকে তাঁর নজর। তাই শুধু কনটেন্ট নয়, শুটিংয়ের পরিবেশ, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বস্তি এবং গোটা টিমের মধ্যে সম্মানজনক সমন্বয় রাখাটাও তাঁর দায়িত্ব বলে মনে করছেন।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনের পরিবর্তে রিমঝিম মিত্র এখন যুক্ত হচ্ছেন ধারাবাহিকের সঙ্গে। কৌশিক চক্রবর্তীর চরিত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। আগের মতোই মূল নায়কের চরিত্রে থাকছেন আরিয়ান ভৌমিক। এমন বদল আনতে গিয়ে রূপক চাইছেন যেন ধারাবাহিকের গতি বা স্বাদে কোনও ছন্দপতন না হয়। সব মিলিয়ে বলাই যায়, দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতেই পেশাদার মনোভাবে রূপক পরিষ্কার করে দিচ্ছেন তিনি কেন ভিন্ন।
আরও পড়ুনঃ এবারের টিআরপিতে ‘পরিণীতা’ অপ্রতিরোধ্য, প্রথম পাঁচ থেকে ছিটকে গেল ‘গীতা’! টিআরপি শুন্যতায় বন্ধের মুখে ‘মিঠিঝোরা’, ‘রোশনাই’, ‘শুভ বিবাহ’?
উদ্যাপনকে তিনি দেখছেন কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে। বলছেন, “আমরা এত পরিশ্রম করি শুধু দর্শকের ভালোবাসা পাওয়ার আশায়। সেটা পেলে একটু চা-কফি দিয়ে খুশি তো হওয়াই যায়।” বিতর্কের মধ্যে দাঁড়িয়েও এমন সংযত কণ্ঠস্বরই হয়তো ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ স্থির রাখবে। প্রসঙ্গত ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে এখনো পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো।