খাওয়ানোর নাম করে মায়ের রান্না নিয়ে ব্যবসা? মায়ের স্বপ্নকে ঘিরে ব্যবসার অভিযোগ! নোংরা কটাক্ষের মুখে বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা!

একটি ছোট্ট সদিচ্ছা থেকেই এক বড় উদ্যোগের পথচলা শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগে। নববর্ষের দিনে সঙ্গীতশিল্পী ‘সমদীপ্তা মুখোপাধ্যায়’ (Samadipta Mukherjee) এর মা নিজে হাতে রান্না করে কিছু মানুষকে খাওয়াতে চান, এই ইচ্ছেই মেয়ে শেয়ার করে জানিয়েছিলেন সমাজ মাধ্যমে। তবে সেই সাধারন বার্তাই হয়ে উঠল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। মূলত বার্তাটি সঠিক ভাবে পৌঁছায়নি অনেকের কাছেই। অনেকেই বুঝতেই পারেননি, এটা কেবল মায়ের ভালবাসা নয়, বরং স্বনির্ভর হওয়ার একটি ছোট উদ্যোগ।

যেখানে ১৩ তারিখ অবধি আসা নির্দিষ্ট অর্ডার অনুযায়ী রান্না করে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। এটিকেই বিনামূল্যে খাওয়ানোর বার্তা ভেবে অনেকেই সমদীপ্তার উদ্দেশে ছুঁড়তে থাকেন কটু মন্তব্য। ভিডিওটিতে সমদীপ্তা স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর মা নববর্ষ উপলক্ষে রান্না করবেন, আর সেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে যাঁরা অগ্রিম অর্ডার করবেন তাঁদের কাছে। অর্থাৎ এটি ছিল একরকম হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মতন উদ্যোগ। কিন্তু অনেকে সেটিকে ভুল বুঝে ভেবেছেন, বিনা পয়সায় খাওয়ানোর কথা বলেছেন তিনি, অথচ পরে আবার টাকার কথা বলা হচ্ছে।

আর এই ভুল বোঝাবুঝিই যেন জন্ম দেয় একগুচ্ছ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার। সমদীপ্তার সমাজ মাধ্যমের পাতা ভরে ওঠে কটু মন্তব্যে। কেউ বলেন ‘ভালোবাসা বিক্রি করছেন’, কেউ আবার সরাসরি আক্রমণ করেন তাঁর মাকে। সমালোচনার তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে, সমদীপ্তাকে ফের ভিডিও পোস্ট করে মুখ খোলার প্রয়োজন হয়। এই ভিডিওতে তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেন ও জানান, এটা ছিল একটিমাত্র আমন্ত্রণ, কাউকে জোর করে কিছু বলার উদ্দেশ্যে নয়।

সমদীপ্তার কথায়, একজন মহিলা নিজে রান্না করে স্বনির্ভর হওয়ার ছোট্ট উদ্যোগ নিতে চাইছেন, সেটি নিয়ে এত বিদ্বেষ ছড়ানো অনুচিত। বরং এই ধরনের উদ্যোগকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, “একজন মানুষ আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে রান্না করবেন, তার মূল্য চাইলে তা অন্যায় নয়। এটাকে নিয়ে ফ্রাস্ট্রেশন ঝারবেন কেন?” পাশাপাশি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এ তাঁর প্রোফাইলে এসে কেউ অপমানজনক মন্তব্য করতে পারেন না, সেই অধিকার তাদের দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুনঃ শুভ-আকাশের বিয়েতে ঝড়! সিঁদুর পরানোর মুহূর্তেই হাজির আদৃত! টানটান উত্তেজনা আজকের পর্ব!

সবশেষে সমদীপ্তা দুঃখের সুরে জানান, বহুদিন ধরে তাঁর মা এই উদ্যোগ নিতে চাইলেও সমাজের ‘লোকে কি বলবে’ ভয়েই পিছিয়ে ছিলেন। এবার সাহস করে যখন শুরু করলেন, তখনও সমাজ সেই একই মানসিকতার দেয়াল তুলে দিল সামনে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন থেকেই যায়—একজন নারী যখন কিছু নিজে করে দাঁড়াতে চান, তখন কি সমাজ তাঁকে সত্যিই সেই জায়গা দিতে প্রস্তুত? নাকি এখনো তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিছু কুরুচিকর মানুষিকতার বাহিনী?