দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা মানেই পড়ুয়াদের কাছে এক চরম মানসিক চাপের সময়। আর যদি সেই পড়ুয়া হন টেলিভিশনের (Television Actress) জনপ্রিয় মুখ? যাঁর দৈনিক শ্যুটিং চলে টানা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা, তাহলে সেই পরীক্ষার যাত্রা যে কতটা কঠিন, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবছর ঠিক এমন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন বাংলা ছোট পর্দার তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যাদের মধ্যে একজন হলেন ‘তুই আমার হিরো’ (Tui Amar Hero) এর আরশি অর্থাৎ ‘মোহনা মাইতি’ (Mohana Maiti)।
তাঁদের সকলেই ব্যস্ত শ্যুটিংয়ের মাঝেই বোর্ডস দিয়েছেন, তবে কেমন হলো মোহনার রেজাল্ট? বর্তমানে মোহনা ‘তুই আমার হিরো’ ধারাবাহিকে আরশি চরিত্রে অভিনয় করছেন। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি কোনওভাবে পড়াশোনায় ফাঁকি দেননি। সংবাদ মাধ্যমকে মোহনা জানান, এই রেজাল্ট তাঁর কাছে সন্তোষজনক। যদিও নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ প্রকাশ করতে চাননি, তবে এটুকু স্পষ্ট করেছেন যে, বাবা-মা তাঁর রেজাল্টে খুশি।
মোহনা বলেন, “আমি যতটা আশা করেছিলাম, ততটা পাইনি কিন্তু আমি ভালোই করেছি। মা-বাবা কখনোই চাপ দেয়নি, তাই যেটা ভালোলাগে করে এসেছি বরাবর।” তিনি আরও জানান, তিনি ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের পিওর সাইন্স বিভাগের ছাত্রী। দশম শ্রেণি থেকেই এই স্কুলে পড়ছেন, টানা শ্যুটিংয়ের কারণে নিয়মিত স্কুল যাওয়া সম্ভব না হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন। শুধুমাত্র নোট নেওয়া ও পরীক্ষার সময় তিনি স্কুলে গিয়েছেন।
ভবিষ্যতে কী নিয়ে পড়বেন, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি মোহনা। মোহনা বলেন, “সায়েন্স আর লিটারেচারের মধ্যে কোনটা নেব, সেটা ভাবছি। বাবা-মা’র সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” মোহনার কাছে পড়াশোনা এবং অভিনয়— দুই ক্ষেত্রেই ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনার চাপ, শ্যুটিংয়ের রুটিন, ঘুমের অভাব, এই সমস্ত কিছুকে একদিকে সরিয়ে রেখে মোহনা যেভাবে নিজের লক্ষ্যে টিকে থেকেছেন।
আরও পড়ুনঃ “কন্যাদান করে বিয়ে দেওয়ার পর সম্পর্ক না টিকলে, সেই কন্যা কি শাস্ত্র মতে বাড়ি ফিরে এলো?” কন্যাদান, গোত্র পরিবর্তন নিয়ে সমাজের কাছে প্রশ্ন টলি অভিনেত্রী স্বস্তিকার
মোহনার এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও পড়াশোনার ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। শ্যুটিং শেষে রাতে পড়াশোনা, পরীক্ষার দিনও শ্যুটিংয়ের চাপ, এই সবকিছুর মধ্যেও আত্মবিশ্বাস হারাননি তিনি। মোহনা যেমন নিজে খুশি, তেমনই খুশি তাঁর পরিবারও। পর্দার ‘আরশি’র এই বাস্তব লড়াই ও সাফল্য নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা অনেকের কাছেই। আমাদের শুভ কামনা রইল মোহনার আগামী দিনের জন্যে! ভবিষ্যতে যেন আরও বড় এবং সফল হতে পারেন তিনি।