“ওর মুখের হাসিটাই সবচেয়ে দামি”— মা নেই, তবু একা নন কৌশানী, হবু শাশুড়ির যত্নে কৌশানীর জন্মদিন কাটল আবেগে ও ভালোবাসায়! কি উপহার দিলেন শাশুড়ি পিয়া আর বনি?

গতকাল, অর্থাৎ ১৭ মে ছিল টলি অভিনেত্রী ‘কৌশানী মুখোপাধ্যায়’ (Koushani Mukherjee) এর জন্মদিন (Birthday)। প্রতিবছরের মতো এবারও এই বিশেষ দিনটি ঘরোয়া ভাবেই উদযাপন করলেন তিনি, তবে আবেগের মাত্রা এবার জন্মদিনের ছিল একটু বেশিই। মা-কে হারানোর পর কৌশানী জীবনে এই দিনটা তেমন ভাবে উদযাপন করতেন না, তবে হবু শাশুড়ি ‘পিয়া সেনগুপ্ত’ (Piya Sengupta) যেন তাঁকে এক মুহূর্তের জন্যও মনখারাপ করতে দিলেন না এবার ।

সকাল থেকেই বাড়ি ভরে উঠেছিল হাসি-আনন্দে, রান্নার গন্ধে, আর কৌশানীর প্রিয়জনদের উপস্থিতিতে। এদিন কৌশানীর বাড়িতে ছিল উৎসবের আমেজ। পিয়ার কথায়, দিনটিকে যতটা সম্ভব স্পেশ্যাল করে তোলার জন্য আগেভাগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রস্তুতি। অভিনেত্রীর প্রিয় চিংড়ি মাছ আর পাঁঠার মাংস ছিল লাঞ্চের মেনুর প্রধান আকর্ষণ। সকালবেলায় স্নান সেরে উঠতেই শুরু হয়েছিল আশীর্বাদের পর্ব। তারপর পিয়ার হাতে পায়েস খেয়ে দিনের শুরু করেছিলেন কৌশানী।

পিয়া নিজেই জানিয়েছেন, কৌশানী তাঁদের খুব আদরের, খালি মাঝে মাঝে মাথা গরম করে—তবে সেটাও মুহূর্তেই ঠিক হয়ে যায়। মিশুক স্বভাবের জন্যই কৌশানীর উপর কেউ রেগে থাকতে পারে না। এমন একজন মেয়েকে খুশি রাখতে পিয়া তাঁর তরফ থেকে কোনও চেষ্টার খামতি রাখলেন না। মা-মেয়ের মতো সম্পর্ক কৌশানী আর পিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অনেক আগে থেকেই। নিজেদের মধ্যে রাগ-অভিমান থাকলেও, তাতে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

তাঁদের এই সম্পর্কে মাঝে পড়ে মাঝেমধ্যে প্রেমিক বনি সেনগুপ্তও নাকি বিপাকে পড়েন, মজার ছলে এমনটাই জানিয়েছেন পিয়া নিজেই। তিনি বলেন, “বনির মা আর বউ দুজনেই খুব জাঁদরেল।” জন্মদিনে কৌশানী যেন হয়ে উঠেছিলেন পরিবারের প্রাণকেন্দ্র। কৌশানী আবার কারোর আসলেই বিশেষ উপহার নিয়ে ভেবে রাখেন— কে কী পছন্দ করেন, কী উপহার পেলে মুখে হাসি ফুটবে, সবটা নিজের হাতে পরিকল্পনা করতে ভালবাসেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ অপমান করে অনন্যাকে ধুয়ে দিল মিটিল! গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে ডল দিদিকে সঙ্গে নিয়ে হাজির কমলিনীর বাড়িতে! নতুনকে বিয়েতে রাজি করাতে কমলিনীর কাছে অনুরোধ করল ডল! এরপর, কী হতে চলেছে চিরসখা ধারাবাহিকে?

তাই কৌশানীর জন্মদিন এলেই তাঁর কাছের মানুষদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় কৌশানীর পছন্দসই জিনিস নিয়ে নতুন করে ভাবনা। তবে উপহার নিয়ে কৌশানীর হবু শাশুড়ির বলেন, তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না কী কিনলে কৌশানীর মুখে খুশি দেখা যাবে। তাই শেষমেশ অভিনেত্রী নিজেই নিজের জন্য কিছু কেনাকাটা করে নেন, আর পিয়ার দায়িত্ব শুধু টাকার জোগান দেওয়া। সব মিলিয়ে, এবারের জন্মদিনও কৌশানীর জীবনে রয়ে গেল স্মরণীয়, আবেগঘন ও ভালবাসার পরশে ভরা এক অধ্যায় হিসেবে।