স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) চলতি বছরের শুরুতেই হাজার পর্ব পার করেছে। গল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সূর্য্য-দীপার যমজ মেয়ে সোনা রূপা এখন বড় হয়েছে, বিয়েও করে নিয়েছে নিজেদের পছন্দের মানুষকে। কিন্তু সূর্য্য-দীপার ছাড়াছাড়ি পর্ব যেন শেষই হচ্ছে না। প্রতি দশ থেকে বারো বছর অন্তর দুজনে এক হয়ে আবার আলাদা হয়ে যায়। আর এবারও নতুন প্রোমো (Anurager Chhowa New Promo) সামনে আসতেই এমনই হওয়ার আশঙ্কা আবার।
স্টার জলসার প্রকাশিত নতুন প্রোমোতে দেখা গেল, সূর্য্য-দীপা এবার একেবারে অন্য রূপে, অন্য শহরে। দিল্লিতে বিজনেস করছে দেখা গেল সূর্য্য। যার সাথে তার চুক্তি হতে চলেছে সে আর কেউ নয় বরং দীপা। একেবারে প্রথম সারির বিজনেস ওম্যানের মতো সাজ পোশাক তাঁর। এখানেই মূলত বেধেছে গোল। দর্শকদের মনে হাজারো প্রশ্নের ভিড়, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন— এতো বড় সন্তানের মা বাবা হয়েও বয়স বাড়ার থেকে কমেই যাচ্ছে দুজনের।
কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, লেখক গল্প লিখতে গিয়ে শুরুর গল্পই ভুলে গেছেন। গল্পের শুরু অনুযায়ী দীপা অশিক্ষিত, ভালো পারার মধ্যে শুধু রান্নাটুকু পারে। সে কিভাবে বিজনেস ওম্যান হয়ে গেল সেটাই ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না দর্শক! কেউ বলেছেন,”পড়াশুনা না করা একটা মেয়ে যে শুধু ভালো রান্না করতো। সেখান থেকে আবার বিজনেস। বয়স ও বাড়ছেই না, গল্পে গরু গাছে ওঠে ব্যাপারটা সেরকম হয়ে গেছে।”
আবার কেউ বলেছেন,”সূর্য পূর্বদিকে উদিত হবে, পৃথিবী ধ্বংস হবে, হয়তো একদিন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা বিয়ে করবে, শ্রাবন্তী বিয়ে করা বন্ধ করে দেবে। কিন্তু এই সূর্য-দীপার দূরে গিয়ে কাছে আসা শেষ হবেনা, আর সিরিয়াল তো শেষ হবেই না।” আরও অনেকেই বলেছেন,”এগুলো কে কেউ একটু মনে করিয়ে দাও যে নাটকের কাহিনি অনুযাই দিপা আর সূর্যের এই মুহূর্তে ৫০ এর মত বা তার ও বেশি বয়স, অথচ এটা কি?”
আরও পড়ুনঃ শুভ-আদি প্রেম করছে! আয়ানকে চোখের আড়াল করছে না মোহনা! দিনে দিনে মোহনা নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে! কিন্তু, আদির মনে জায়গা করতে পারবে কি মোহনা? শুভ কি ছাড়বে তাঁর নিজের জায়গা?
শেষমেশ সবাই চাইছেন, এইবার দয়া করে শেষ করা হোক এই ধারাবাহিক, দীর্ঘদিন ধরে একই বিচ্ছেদ আবার পুনর্মিলন তারপর আবার বিচ্ছেদ এই দেখতে দেখতে দর্শকেরা ক্লান্ত। অনেকেই ইতিমধ্যে দেখা বন্ধ করে দিয়েছে এই ধারাবাহিক। “আমার বিয়ে হয়ে বাচ্চার দুবছর হয়ে গেলো তাও সিরিয়াল শেষ হলোনা”, “এবার থাম ভাই তোরা, পাড়ার কাকিমা গুলো ফাইনালি ডিপ্রেশনে গেল বলে!”— বলছেন অনেকেই। আপনাদের কি মতামত এই ধারাবাহিক নিয়ে?