“আমি তোমার একার নই, আমার মন দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে”— ‘রোশনাই’তে লীনা গাঙ্গুলির সংলাপে মাথা ধরছে দর্শকদের! আরণ্যকের চরিত্রে যতটা গোলমাল, তার থেকেও বেশি গোলমাল সংলাপে! দর্শকদের কথায়, ‘লীনা ম্যাডামের স্ক্রিপ্টে নায়ক নয়, চরিত্রহীনতার প্রতীক হয়ে উঠছে আরণ্যক!’

স্টার জলসার ‘রোশনাই’ (Roshnai) ধারাবাহিক এখন আর প্রেমের গল্প নয়, সোজা সোশ্যাল ট্র্যাজেডি! এক বোনকে ভালোবেসে আরেক বোনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নায়ক, মানে আরণ্যক এখন দর্শকের চোখে চরম খলনায়ক। এক মুহূর্তে সে গরিমাকে প্রেমের কথা বলে, পরমুহূর্তে রোশনাইয়ের পেছনে ঘুরে বেড়ায়। কে কার প্রতি দায়বদ্ধ, কার জন্য কে দুর্বল, আর কার জন্য কাঁদছে, এটাই বোঝা দায় হয়ে যাচ্ছে এখন দর্শকদের। তার উপর লীনা গাঙ্গুলির সংলাপ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া!

আরণ্যকের চরিত্র সত্যিই বিরক্তিকর, কিন্তু এর চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এই কাণ্ডজ্ঞানহীন চরিত্রদের মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া সংলাপ! লেখিকা লীনা গাঙ্গুলির হাতে কলম আসার সঙ্গে সঙ্গেই যেন বাংলা ধারাবাহিকের সংলাপ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, যা শুনে কোমায় চলে যাচ্ছে দর্শক। যেমন রোশনাইয়ের এক সাম্প্রতিক পর্বে সোনা গেল, আরণ্যক গরিমাকে বলছে, “এই সত্যিটা তোমাকে মানতে হবে যে আমি আর তোমার একার নই, আমার মন টা দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে!

আমি তোমাকে ভালোবাসতাম, কিন্তু এখন শুধু রোশনাইকে ভালোবাসি। কিন্তু তোমার তোমার কেয়ার করি, তোমার প্রতি আমার একটা দায়িত্ব আছে, তবে রোশনাইয়ের জন্য আমি দূর্বল হয়ে পরি। তুমি প্লিজ এটা মেনে নাও!” —এই কথা শুনে দর্শকেদের জ্ঞান হারানোর জোগাড়! আরণ্যকের দ্বিচারিতা বরাবরই প্রশ্নের মুখে থেকেছে, কিন্তু এবার যেন লীনা গাঙ্গুলিকেই নিশানায় নিলেন দর্শকের একাংশ। কেউ কেউ বলছেন, “লেখিকার ডায়লগ দেখে দর্শক আরো কমে যাবে।

লেখিকা একটা মানসিক ভারসাম্য হীন নইলে এসব বিচ্ছিরি ডায়লগ লিখতে পারতেন না!” আবার কারোর মতে, “আমার এক্সও আমাকে এই একই ডায়লগ দিয়েছিল, লীনা পিসি মনে হয় আমার এক্সের থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়েছেন।” কেউ তো বলেই ফেলেছেন, যে আরণ্যকের চরিত্র নাকি এতটা দূষিত ছিল না! বরং লীনা গাঙ্গুলির সংলাপ বলতে গিয়েই খলনায়কে পরিণত হয়েছে সে। নায়ক হলেও, সবচেয়ে বেশি নিন্দা তাঁরই কপালে!

আরও পড়ুনঃ “অপ্রাসঙ্গিক” বলে যাকে উড়িয়েছিলেন, সেই ‘সাধ’কে অস্বীকার করেও জাঁকজমকে পালন করলেন অহনা! অনুষ্ঠানের ছবি ঘিরে সমাজ মাধ্যমে কটাক্ষের ঝড়! নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘তবে এতদিন ঢং করলেন কেন?’

অন্যদিকে আরণ্যক কে নিয়েও কাটাছেঁড়ার অন্ত নেই। সেখানেও একজন বলেছেন, “আরণ্যক রোশনাইকে পেলো তারপর হঠাৎ রোশনাইয়ের জীবনে নতুন কেউ এলো ঠিক যেমনভাবে আরণ্যকের জীবনে গরীমার পরিবর্তে রোশনাই এসেছে, এমনটা হলে খুব খুশি হতাম।
বাজে, নষ্ট, জঘন্য একটা চরিত্র আরণ্যক!” অন্যজন বলেছেন, “এই আরণ্যক তো গুড্ডি সিরিয়ালের নায়কের থেকেও বাজে! জীবনে ওর মতো এতটুকু কনফিডেন্স থাকলেই যথেষ্ট।” সব মিলিয়ে দর্শকরা বলছেন, “এই নাটক না দেখে গাঁজা খেলে বেশি রিলাক্স লাগত!”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

You cannot copy content of this page