“অ্যাডজাস্ট করতেও সীমা থাকে! জয় শুধু পচা মাছ কেনে, সংসার চালাই আমি!”— দাম্পত্য নিয়ে অকপট লোপামুদ্রা! স্বামীর ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা কটাক্ষ! দাম্পত্যে সমঝোতা না আত্মমর্যাদাকে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি?

অসাধারণ প্রতিভার অধিকারিণী ‘লোপামুদ্রা মিত্র’ (Lopamudra Mitra) শুধুই একজন গায়িকা নন, তিনি একজন চিন্তাশীল, স্পষ্টবাদী এবং স্বাধীনচেতা নারী। মঞ্চে যেমন তাঁর গলার জাদুতে মুগ্ধ হন শ্রোতা, তেমনি ব্যক্তিজীবনেও তিনি একদম খোলামেলা, স্পষ্ট কথা বলতে দ্বিধা করেন না। তাঁর সঙ্গে সুরকার ‘জয় সরকার’ (Joy Sarkar) -এর দাম্পত্য জীবনের অনেক গল্পই মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। তাদের প্রথম পরিচয় এক মেলায়, যেখানে লোপার গানে বিমুগ্ধ হয়ে যান জয়। সেই প্রেম গড়ায় সংসারে, কিন্তু তারা অন্যদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে লোপা ও জয়ের বিবাহ হয়। তবে এই দম্পতির সংসারের গল্পটা যেন একেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য। একদিকে মিউজিকের প্রতি প্রেম, অন্যদিকে জীবনের জটিল সমীকরণে নিজেদের স্থিরভাবে মেলে ধরা—এই দুইয়ের মাঝে এক অদ্ভুত সুন্দর ভারসাম্য রচনা করেছেন তাঁরা। সন্তান না নেওয়া নিয়ে বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন লোপা, কিন্তু তাঁর সোজাসাপটা জবাব—তাঁদের সন্তান হল সঙ্গীত। আর সেই সঙ্গীতই তাঁদের জীবন চালায়, বেঁধে রাখে এবং ভালোবাসা শেখায়।

প্রায়ই তাঁকে জয়কে নিয়ে ঠাট্টা করতে দেখা যায়। একবার বলেছিলেন, তাঁর বুটিকের মডেল জয় সরকার, যিনি কিছু পাঞ্জাবির বিনিময়ে ফ্রিতে মডেলিং করেন! এই মজার মজার গল্পেই তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা ধরা পড়ে। আবার সংসারের নানা কাজে জয় কতটা অংশ নেন, তা নিয়েও হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, মাঝে মাঝে পচা মাছ এনে নিজেকে ‘হিরো’ ভাবেন জয়। এদিন এক সাক্ষাৎকারে লোপা জানান, সংসারের রাশটা তিনি নিজেই হাতে রাখেন।

তবে তিনি রাগ করেন না, বরং জলের মতো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। পরিস্থিতি যাই হোক, নিজেকে সে অনুপাতে বদলাতে পারেন। তবে সীমা ছাড়িয়ে গেলে, তিনি নিজেই সেই স্থান ছেড়ে দেন। গায়িকার কথায়, “আমি খুব অ্যাডজাস্ট করতে পারি। সে কোনও সিচুয়েশনে আমি মা নিয়ে পেরি, সেটা বাড়িই হোক কিংবা কর্মক্ষেত্র। জলের মতো যে পাত্রে রাখবে আমি সেরকম আকার ধারণ করি। অতিরিক্ত রাগ আমি দেখতে পারি না।

আরও পড়ুনঃ “দেব-জিৎকে নিয়ে আবার সিনেমা করব, সুযোগ পেলেই”—পরিচালক রাজের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি!

শুধু অতিরিক্ত হয়ে গেলে পাত্রটা ছাড়তে হয়। এই কারণেই আমাকে কখনও পার্টিতে কেউ দেখে না।” তাঁর এই বক্তব্যেই যেন ধরা পড়ে তাঁর আত্মমর্যাদা, আত্মনির্ভরতা এবং এক শক্তিশালী নারীসত্তা। সত্যিই, লোপামুদ্রা মিত্র শুধুই একজন শিল্পী নন—তিনি এক জীবনদর্শনের প্রতীক। তাঁর কণ্ঠে যেমন সুরের আবেগ, তেমনি তাঁর কথায় জীবনের গভীরতা। সংসার, সম্পর্ক, সঙ্গীত—তিনটিকেই তিনি নিজের মতো করে ধারণ করেছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।