স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, স্বতন্ত্র কমলিনীকে ফোন করে কোর্টের চিঠি যাওয়ার কথা জানায়। চন্দ্র কোনও ফন্দি আঁটছে বুঝতে পেরে কমলিনী সেই কথা জানায় নতুনকে। কমলিনীকে সন্দেহ যে মায়ের গয়না বন্ধক রাখার টাকায়, চন্দ্র সোহিনীদের অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করবে। সেটাই যদি হয়, তাহলে সমস্ত প্রমাণ হারিয়ে ফেলবে কমলিনী, আর কিচ্ছু প্রমাণ হবে না।
উল্টে কোর্টে কেসটা উঠলেই চন্দ্র প্রমাণ করে দেবে, সে সোহিনীর সাথে সহবাস করলেও তার জীবন সঙ্গিনী নয়। নতুন আশ্বাস দেয় কমলিনীকে, যে কোনও পরিস্থিতিতে সে কমলিনীর পাশে থাকবে। ভালো উকিল ঠিক করবে, যাতে চন্দ্র কোনভাবেই বাঁচতে না পারে। সবশেষে স্বতন্ত্র নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করে কমলিনীকে, নতুনের ইচ্ছে তার যা কিছু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আছে, শেষ বয়সে কমলিনীর নামে করে দেবে, যাতে পূর্ণতা পায় তার জীবন।
নতুনের এই প্রস্তাবে কমলিনী ঘোর আপত্তি জানায়। এরপর নতুনকে সে অনুরোধ করে তার সঙ্গে কোর্টে যেতে। নতুন জানায়, এতদিন লোকে কি বলবে সেই কথা ভেবে সে দ্বিধায় ছিল। কিন্তু কমলিনীর সম্মতিতে সে এবার নিশ্চই যাবে। অন্যদিকে কোর্টের চিঠি চন্দ্রের হাতে এসেই পড়ে। ওই চিঠিকে কেন্দ্র করে বাড়িতে নতুন অশান্তির সৃষ্টি করে চন্দ্র আর সঙ্গ দেয় বর্ষা। বাবিল আর মিঠি মায়ের জন্য প্রতিবাদ করতে থাকে বরাবরের মতো।
চন্দ্রের মা কমলিনীকেই দোষ দিতে থাকেন, ঘরের অশান্তি কোর্টে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কমলিনী জানায়, চন্দ্র যদি ভালোভাবে ডিভোর্সটা দিয়ে দিত, তাহলে বিষয়টা মামলায় গিয়ে ঠেকত না। এদিকে চন্দ্রের কথায়, সে কখনোই বিয়ে করেনি সোহিনীকে, বরং সোহিনীর তার প্রতি অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিল। সেই চাপে পড়েই সে চন্দ্রকে স্বামীর আখ্যা দিয়েছে। বাড়ির আর কেউ বিশ্বাস করে না আর চন্দ্রের মিথ্যে কথা।
আরও পড়ুনঃ টেলিভিশনের মঞ্চে অপমানিত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী, রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য নিয়ে বিতর্কে উত্তাল টলিপাড়া!
কোনও বিরোধ না করেই সোহিনী চুপচাপ সবকিছু শোনে। চন্দ্র এবার জোর গলায় বলে, প্রমাণ আছে করে চিৎকার করেও মিটিল আজ পর্যন্ত সোহিনীর সঙ্গে তার বিয়ের ছবি দেখাতে পারেনি। সুতরাং কোর্টের কেসটা উঠলে গো হারা হারবে কমলিনী। সোজা কথায় চন্দ্র জানিয়ে দেয়, কিছুতেই কমলিনীকে ডিভোর্স দেবে না। এবার চন্দ্রের মাসি কমলিনীর পক্ষ নিয়ে বলেন, অপরাধীকে শাস্তি দিতে যা করেছে একদম ঠিক করেছে।