সমাজ মাধ্যমে ‘কুরু’চিকর’ কনটেন্ট নিয়ে বিপাকে স্যান্ডি সাহা! পোশাকের দ্বারা দেশের সংস্কৃতির অবমাননা, এডভোকেট সঙ্গীতা দাস জানা’র তরফে আইনি অভিযোগ দায়ের! ভুল স্বীকার না করে, ‘বাবা-মা’ তুলে গালা’গাল করলেন স্যান্ডি!

সমাজ মাধ্যমে আলোচিত মুখ ‘স্যান্ডি সাহা’কে (Sandy Saha) ঘিরে ফের তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এবার বিষয়টি শুধু অনলাইন ট্রোলিংয়ে আটকে থাকেনি, সরাসরি পৌঁছে গেছে কলকাতা সাইবার ক্রাইম বিভাগের দরজায়। অভিযোগের সূত্রপাত চর্চিত এডভোকেট ‘সঙ্গীতা দাস জানা’র (Adv. Sangita Das Jana) হাত ধরে। বর্তমানে সমাজ মাধ্যমে তিনি এক বিশেষ উদ্যোগের জন্য পরিচিত— যেখানে অশা’লীন, কুরু’চিকর বা আইন’বিরোধী কনটেন্ট তৈরি করা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

সঙ্গীতার দাবি, স্যান্ডির সাম্প্রতিক কনটেন্ট ও পোশাকের ধরন দেশের সংস্কৃতি এবং সামাজিক পরিবেশকে অবমাননা করছে। বিশেষ করে তাঁর তৈরি ‘নাইটি বৌদি’ চরিত্র নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এই চরিত্রের মাধ্যমে এমন একটি বার্তা ছড়ানো হচ্ছে যে ভারতের গৃহবধূ বা মহিলাদের ছোট হতে হচ্ছে, যা দেশের মর্যাদাকে আঘাত করতে পারে। তাঁর মতে, জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে স্যান্ডির প্রভাব বিপুল, ফলে এই ধরনের বার্তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে ভুল ধারণা তৈরি করছে।

শুধু পোশাক নয়, সঙ্গীতার মতে, স্যান্ডির আচরণও সমাজ মাধ্যমের জন্য শোভনীয় নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, সমাজ মাধ্যম কারোর ব্যক্তিগত ক্ষেত্র নয়— এটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রত্যেক কনটেন্ট নির্মাতার দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার করা উচিত। সেই কারণেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, স্যান্ডি নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চাইবেন।

তবে অভিযোগ পাওয়ার পর স্যান্ডির প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। জানা গেছে, তিনি আইনজীবীকে লক্ষ্য করে এবং তাঁর বাবা-মাকে টেনে এনে এক ভিডিওতে কড়া ভাষায় মন্তব্য করেছেন। এই প্রতিক্রিয়াই এখন নতুন করে সমাজ মাধ্যমে আগুন জ্বালিয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, ‘কনটেন্টের স্বাধীনতা’ কি যে কোনও ধরনের ভাষা ও আচরণের লাইসেন্স দিতে পারে?

আরও পড়ুনঃ রাখিবন্ধনে রাজ-শুভশ্রীর ঘরে খুশির হাওয়া! ছোট্ট বোন ইয়ালিনির হাতের রাখি পরেই, দাদা ইউভান আনন্দে আত্মহারা! এই বিশেষ দিনে, বোনের জন্য দাদা এনেছিল কী উপহার?

নাকি এর সত্যিই একটা সীমা থাকা উচিত? উল্লেখযোগ্যভাবে, শুধু স্যান্ডি সাহাই নয়— সঙ্গীতা দাস জানা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন সমাজ মাধ্যমে কন্টেন্ট নির্মাতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন। তাঁর পদক্ষেপের ফলেই কয়েকটি প্রোফাইল ব্যানও হয়েছে আবার কেউ কেউ ক্ষমা চেয়ে, নিজেদের শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন দেখা যাক, স্যান্ডির ক্ষেত্রে এই বিতর্ক আইনের রায়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।