মৌ- প্লুটোর আশীর্বাদে কষ্ট চেপে রেখে নিজেই ছবি তুলে দিল মিঠি! হৃদয় ভেঙে গেলেও মৌয়ের ইচ্ছেয় আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে সামিল মিঠি! স্বতন্ত্র ও কমলিনীর সম্পর্ক নিয়ে আবারও শুরু নতুন গুঞ্জন!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, এক অস্বস্তিকর পরিবেশ। মৌ এবং প্লুটোর আশীর্বাদের আয়োজন হলেও বাড়ির অনেকেই এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছে না। কারণ, প্লুটোর অতীতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিঠির নাম, আর সেই জায়গায় হঠাৎ করেই মৌয়ের প্রবেশে সম্পর্কের সমীকরণ পুরো বদলে গেছে। তবু অনুষ্ঠান থেমে নেই, আশীর্বাদের প্রস্তুতি চলছে, আর ঠিক তখনই মামাবাড়িতে হাজির হয় মিঠি-বাবিল, সঙ্গে মিটিল ও কমলিনীর সুটকেস।

তারা আসলেও কেউই জানত না আজ মৌয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠান, তাই হঠাৎ সেই দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় সবাই। সবথেকে বেশি ধাক্কা খায় মিঠি। মিঠির চোখে ধরা পড়ে তার ভালোবাসার মানুষ প্লুটো, এখন অন্য কারও পাশে বসে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছে। যতই নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করুক, ভেতরের কষ্ট চেপে রাখা সহজ নয়। কিন্তু মিঠি তার অনুভূতি আড়াল করে শান্ত মুখে অনুষ্ঠান দেখতে থাকে। কমলিনীর অনুরোধে, মামাত বোন মৌয়ের অনুষ্ঠানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।

কিন্তু তার এই উপস্থিতি যেন মৌ ইচ্ছে করেই ব্যবহার করছে কষ্ট দেওয়ার জন্য, বারবার তাকে এমন অবস্থায় ফেলছে যেখানে মন শক্ত রাখা কঠিন। অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র সোনার হার দিয়ে মৌকে আশীর্বাদ করে, আর সেই হার দেখে মৌয়ের মুখে লোভে মিশে থাকা আনন্দের ছাপ স্পষ্ট। মৌ নিজেকে সামলাতে না পেরে, স্বতন্ত্রের হাত থেকে প্রায় কেড়ে নিয়ে নেয় সেই হার। এরপর কমলিনীও নিজের গলার চেন খুলে দিয়ে মৌকে আশীর্বাদ করে।

আর কুর্চি তার কাছে থাকা সামান্য অর্থ দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। তবে মিটিল ও কুর্চি খালি হাতে আসায় খানিকটা অস্বস্তি তৈরি হয়, যা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও পুরোপুরি সম্ভব হয় না। এদিকে অনুষ্ঠান চলাকালীনই স্বতন্ত্র ও কমলিনীর সম্পর্ক নিয়ে আবারও ফিসফাস শুরু হয়। অন্যন্যা ও কমলিনীর বৌদি নানা কথায় তাদের অপমান করার চেষ্টা করে। যদিও স্বতন্ত্র স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দেয়, তবু কটাক্ষ থেমে থাকে না।

আরও পড়ুনঃ “রুক্মিণী নয়, দেবের সঙ্গে একমাত্র মানায় শুভশ্রীকেই!”— ‘দেশু’কে ঘিরে কলকাতার রাজপথে দর্শকদের উচ্ছ্বাস! মুক্তির আগেই ভাইরাল ‘ধূমকেতু’, বড়পর্দায় কালই আসছে সোনালি দিনের জুটি!

পরিবেশের মধ্যে সেই টানাপোড়েন স্পষ্ট, যা উপস্থিত প্রত্যেকের নজরে আসে। সবশেষে, মৌ আরও এক ধাপ এগিয়ে মিঠিকে গিয়ে তার এবং প্লুটোর ছবি তুলতে বলে। পরিস্থিতি যতই কষ্টের হোক, মিঠি প্লুটোকে উপেক্ষা করেই হাসিমুখে এগিয়ে যায়। কিন্তু তার চোখের আড়ালে থাকা ব্যথা উপস্থিত সকলেই অনুভব করে। প্লুটো-মৌয়ের আনন্দমুখর মুহূর্তের আড়ালে মিঠির মন ভেঙে যাচ্ছে, এই সত্যি যেন কারও চোখ এড়ায় না।