EAF
স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, একের পর এক নাটকীয় মোড়। প্লুটোর দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এখনও তার হৃদয়ে কেবল মিঠিই আছে। প্রাক্তন প্রেমিকের এমন আচরণ মিঠির কাছে কোনও আবেগ নয়, বরং এক তীব্র অপমান। কারণ যেখানে বিয়ের মণ্ডপ বসছে মিঠিরই বোনের সঙ্গে, সেইখানেই পুরনো প্রেমকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা মিঠির কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সবার চোখের সামনে প্লুটোর আবেগ প্রকাশ নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে দেয়, মিঠির প্রতিবাদের পরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
এদিকে জমজমাট বিয়ের প্রস্তুতি চললেও ভেতরে ভেতরে তৈরি হচ্ছে এক অদ্ভুত চাপা অশান্তি। প্লুটোর পরিবার যখন মৌয়ের গায়ে হলুদ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়ে মেতে উঠেছে, তখনই স্পষ্ট হচ্ছিল যে প্লুটোর মন কোথাও আটকে আছে মিঠির কাছে। মৌয়ের বাড়িতেও মিঠিকে নিয়ে কটাক্ষ চলতে থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনন্যা সবার সামনে দায় চাপিয়ে দেন মিঠির ঘাড়ে, আর সেই মুহূর্তে স্বাতন্ত্র জানিয়ে দেন, এসব আলোচনার জায়গা এটা নয়। কিন্তু এরপরেই বিয়ের আনন্দেও অশান্তির ছায়া ঘনিয়ে আসে।
বাড়িতে বিয়ে নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেও মৌয়ের মা একটুও সংযত থাকেন না। তিনি প্রতিটি সুযোগে কমলিনী আর স্বতন্ত্রকে তির্যক কথায় আঘাত করে চলেন। তবে স্বাতন্ত্র এবার নীরব না থেকে দৃঢ় জবাব দেন সেই কটাক্ষের। এমনকি উপস্থিত আত্মীয়রাও মৌয়ের মায়ের কথার ভঙ্গি লক্ষ্য করে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে। অন্যদিকে মৌ একেবারে অধীর আগ্রহে প্লুটোকে বিয়ের সাজে দেখার অপেক্ষা করছে। বারবার ফোন করছে, প্লুটোকে একবার না দেখলে তার যেন গায়ে হলুদের আনন্দই ফিকে হয়ে যাবে।
কিন্তু এদিকে প্লুটোর অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে শুধু মৌয়ের ফোন এড়িয়েই যাচ্ছে না, নিজের ভেতরে ভয়ঙ্কর এক সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবার ও সমাজের চাপের কাছে পরাজিত হয়ে প্লুটো নিজের জীবন শেষ করার কথা ভাবতে শুরু করে। সে চিঠি লিখে স্পষ্ট জানায়, তার হৃদয়ে জায়গা রয়েছে কেবল মিঠির জন্য। মিঠিকে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে সংসার করার কথা সে ভাবতেও পারছে না। তার মা জোড় করে বিয়েতে বাধ্য করলেও সে মৌকে ভালোবাসে না!
চিঠিতে আরও উল্লেখ করে, এই সিদ্ধান্তের জন্য সে কাউকেই দায়ী করছে না। মিঠি তাকে ভালোবাসলেও পারিবারিক পরিস্থিতির চাপে তাকে ছেড়ে দূরে যেতে বাধ্য হয়েছে, তাই তার প্রতি ক্ষোভ নেই। কিন্তু নিজের অনুভূতি আর দমিয়ে রাখতে পারছে না প্লুটো। তাই সে সমস্ত দ্বিধা সরিয়ে এক বোতল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে। মুহূর্তে শরীরে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে, আর অচেতন হয়ে পড়ে প্লুটো। একদিকে বাইরে বন্ধুরা বারবার খোঁজ করছে প্লুটোর, অন্যদিকে মৌ একের পর এক ফোনে পাগলের মতো যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ “আমরা শৈশবে কোনও পুরুষ দ্বারা নি’র্যাত’নের অভিজ্ঞতা ছিল না, আজ সমাজের মাথাদের মনই কলুষিত!” “উচ্চস্তরের মানুষরা কথার মূল্য দিতে জানে না, নিম্নস্তর এখনও জানে!” — বর্তমান সমাজের উচ্চস্তরে দুর্নী’তি ও স্বা’র্থপরতা নিয়ে তোপ দাগলেন অলকানন্দা রায়!
অথচ প্লুটোর ঘরের ভেতরে ঘটে যাচ্ছে এক ভয়াবহ বিপর্যয়। এখনও পর্যন্ত কেউ জানে না প্লুটোর এই আত্ম’ঘাতী পদক্ষেপের কথা। বাইরে বিয়ের আলো ঝলমলে পরিবেশ আর ভেতরে নিঃশব্দ মৃ’ত্যুর ছায়া, প্লুটোর এই সিদ্ধান্ত কি সত্যিই তার জীবনের ইতি টেনে দেবে, নাকি শেষ মুহূর্তে কেউ তাকে বাঁচিয়ে তুলবে? মিঠির সঙ্গেই কি বিয়ে হবে তাঁর? মিঠির প্রতি ভালোবাসা আর পারিবারিক চাপে ভেঙে পড়া এই দ্বন্দ্বে, গল্প এবার আরও শিহরণ জাগানো মোড় নিতে চলেছে।