“ক্লাস সিক্সের জামা আমি আজও পরি, দুর্গাপুজো বলেই নতুন জামার দরকার নেই আমার!”— দিতিপ্রিয়ার অকপট স্বীকারোক্তি ঘিরে বিতর্ক! এটাই কি নতুন স্টাইল নাকি কিপটেমি?— প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা!

আকাশ বাতাসে এখন শরতের আমেজ। শিউলি ফুল আর কাশফুলেরা জানান দিচ্ছে, উমার আসতে আর দেরি নেই। আপামর বাঙালি এই মুহূর্তে পুজোর কেনাকাটায় ব্যস্ত। বাঙালিদের চলতি কথায় যাকে বলে মার্কেটিং। টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা চরমে। ছোটপর্দার অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) কাছেও দুর্গাপুজো (Durga Puja) মানেই এক আলাদা অনুভূতি। সারা বছর ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপের মাঝেও এই কয়েকটা দিন তিনি নিজের মতো করে কাটানোর সুযোগ খুঁজে পান।

সকালে পাড়ার প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দর্শন, দুপুরে বাড়িতে বসে নিরিবিলি সময় কাটানো— এতেই তাঁর আনন্দ। তবে সাজগোজের ব্যাপারে যে তিনি একেবারেই উদাসীন, তা কিন্তু নয়। কখনও নতুন হেয়ারস্টাইল, কখনও পোশাকের অভিনব মেলবন্ধন বা ফিউশন, সবকিছুতেই নতুনত্বের ছোঁয়া আনতে ভালবাসেন তিনি। এই বছরের পূজোর কেনাকাটার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, “এ বছরের বৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছে নতুন জামাকাপড়ের বদলে দু’টো রেনকোট কিনলেই হয়!”

যদিও মজার ছলে বলা কথা, তবে আক্ষেপ করে জানিয়েছেন যে এখনও তাঁর পুরো কেনাকাটা শেষ হয়নি। কিছু শাড়ি কিনেছেন, আরও নতুন করে কিছু শাড়ি কেনার ইচ্ছে রয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, পুজোর চারটে দিনের জন্য হঠাৎ করে এমন জামা কেনার কোনও মানে হয় না যেটা পরে আর ব্যবহার করা যাবে না। তাই বরাবরই এমন পোশাক কেনেন, যেটা রোজকার জীবনেও ব্যবহার করতে পারেন সহজে। দিতিপ্রিয়া কথায়, “একই জামা একাধিকভাবে ব্যবহার করাই আসল স্টাইল।

ক্লাস সিক্সে যে জামা পরতাম, আজও সেটা পরি। এক শাড়িকে চার রকম ভাবে স্টাইল করলে কেউ ধরতেই পারে না যে সেটা একই শাড়ি। কায়দা জানলেই যে উপায় বের হয়।” তাই সাজগোজের ক্ষেত্রে কখনও নিয়ম বাঁধা মানতে চান না তিনি। দিতিপ্রিয়া আগে থেকে কখনও ঠিক করেন না, কবে কীভাবে সাজবেন। উদাহরণ হিসেবে নিজেই বললেন, গণেশপুজোর দিন হঠাৎ করেই মনে হয়েছিল মহারাষ্ট্রের মেয়েদের মতো সাজবেন। হাতের কাছেই মায়ের আলমারি থেকে মেলে যায় মানানসই ব্লাউজ, মাসির শাড়ি আর নিজের গয়নাগাটি মিলিয়েই তৈরি হয়ে যায় নতুন লুক।

আরও পড়ুনঃ “না জেনে কিছু বলিনি, ‘ছৌ’-কে ‘ছাউ’ বলে!” “বাংলায় কথা বলতে গেলে, ইংরেজি টোন আসতেও পারে, এত বাড়াবাড়ি কিসের?”— সম্প্রতি করা মন্তব্য নিয়ে ট্রোলের মুখে ইধিকা, পাল্টা জবাবে স্পষ্ট অভিনেত্রী!

দুর্গাপুজোতেও ঠিক একইভাবে, হঠাৎ করেই সাজবেন তিনি, আগে থেকে গুছিয়ে রাখার কোনো তাগিদ নেই বলেই জানিয়েছেন। পুজো মানেই তো উপহার দেওয়ার আর পাওয়ার আনন্দও বটে। দিতিপ্রিয়া কথায়, “মায়ের জন্য শাড়ি আর গয়নাগাটি কিনব, বাবার জন্য থাকবে পছন্দের জমা।” তবে ‘বিশেষ বন্ধুর’ উপহার নিয়ে মুখ খুলতে চাইলেন না তিনি। লাজুক হাসি নিয়ে দিতিপ্রিয়ার সংযত উত্তর, “গোপন কথাটি না হয় গোপনই থাকুক।” আর এই উত্তরই যেন আরও কৌতূহল বাড়িয়ে দিল অনুরাগীদের মনে।