এক সময় কলকাতার প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদে বিশ্বকর্মাপুজো (Vishwakarma Puja) মানেই ছিল ঘুড়ির লড়াই। আকাশজোড়া রঙিন ঘুড়ির টানাটানি আর মাঞ্জার ধারে ভোকাট্টা শব্দে চিৎকার করাই ছিল এই দিনের অন্যতম রোমাঞ্চ। তবে সময় বদলেছে, শহুরে ছাদ থেকে আজ আর সে দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। ছোটপর্দার তারকারাও সহমত পোষণ করে বলেছেন, তাঁদের জীবনে ঘুড়ি ওড়ানো আজ নস্টালজিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নস্টালজিয়া মানেই তো ভালো-মন্দ স্মৃতিদের ভিড়। ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষের (Swastika Ghosh) স্মৃতিতে এখনও রয়ে গেছে শৈশবের সেই দিনগুলো। এদিন তিনি স্মৃতির পাতা থেকে এমনই এক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ভক্তদের সঙ্গে। জানালেন, গ্রামের বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর মজা ছিল অন্য রকম।
কিন্তু একবার মাঞ্জায় হাত কেটে র’ক্তার’ক্তি হওয়ার পর থেকেই ঘুড়ির প্রতি তাঁর ভয় কাজ করে। তাই আজও বিশ্বকর্মাপুজো এলেই ঘুড়ি ওড়ানোর চেয়ে রান্নাপুজোর আয়োজনেই বেশি মন দেন তিনি। বর্তমানে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র নতুন অধ্যায়ে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা। আগের অধ্যায়ে দিব্যজ্যোতি দত্তের সঙ্গে তাঁর জুটি দর্শকের কাছে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল।
তাঁদের পর্দার রসায়নই ধারাবাহিককে টিআরপির দৌড়ে এগিয়ে রাখত। কিন্তু দিব্যজ্যোতি বড় পর্দায় পা রাখায় সেই জুটি ভেঙে যায়, ফলে দর্শকের প্রত্যাশাও খানিকটা অপূর্ণ থেকে গেছে। নতুন অধ্যায়ে এবার রাহুল মজুমদারের সঙ্গে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা। দর্শকরা যদিও প্রথমদিকে পুরনো জুটিকে মিস করেছেন, তবে গল্পের মোড় এবং চরিত্রের নতুন সম্পর্ক ধীরে ধীরে তাঁদের আকর্ষণ করছে।
আরও পড়ুনঃ অভিনয় থেকে বিদায়! এবার নতুন পথের খোঁজে ‘মেয়েবেলা’র মৌ ওরফে স্বীকৃতি মজুমদার! কোন পেশায় যুক্ত হলেন অভিনেত্রী ?
এদিকে, স্বস্তিকার অভিনয় দক্ষতা আবারও প্রমাণ করছে, যে কোনও সহঅভিনেতার সঙ্গে তিনি অনায়াসে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। ফলে, বিশ্বকর্মাপুজো আর ঘুড়ির গল্প একদিকে নস্টালজিয়া হলেও, অন্যদিকে স্বস্তিকা ঘোষের বর্তমান পর্দাজীবন নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল অটুট। পর্দায় তিনি যেভাবে চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলছেন, তাতেই স্পষ্ট যে শৈশবের ঘুড়ির লড়াই আজ না থাকলেও, দর্শকের মনে স্বস্তিকার উপস্থিতির লড়াই অব্যাহত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।