“আমাকে তো ওরা…ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য!”— তর্ক-বিতর্কে না গিয়ে ভিন্ন সুরে শ্রাবন্তী জানালেন, কেন ‘ধূমকেতু’তে প্রথম নায়িকা হিসেবে তাঁকে নেওয়া হলেও, শেষ পর্যন্ত করতে পারেননি? দায়ী করলেন কি শুভশ্রীকে?

বিনোদন জগতে তারকা জুটিদের অন-অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। গত মাসেই এক দশক পর বড়পর্দায় দেব-শুভশ্রীর (Dev-Subhashree) জুটি দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যকার মতবিরোধ নিয়েও নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর সেই বিতর্কের মাঝেই নতুন করে উঠে এসেছে আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়’-এর (Srabanti Chatterjee) নাম।

বহু প্রশংসিত ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu) ছবির শুরুতেই যে তাঁকেই প্রথমে ভাবা হয়েছিল নায়িকা হিসেবে, সেই কথাই এবার প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি দেব জানান, ছবির চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই প্রথমে শ্রাবন্তীকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, “ছবির প্রথম নায়িকা হিসেবে কিন্তু শ্রাবন্তীকেই প্রথম অ্যাপ্রোচ করা হয়েছিল, শুভশ্রীকে নয়!” দেব আরও মনে করিয়ে দেন, তখনও শ্রাবন্তী ছিলেন বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা, কিন্তু সেই কারণে তাঁর উপযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি।

এই বক্তব্যই আবার নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, শুভশ্রীর ক্ষেত্রে দেবের এক মন্তব্যকে অনেকেই অবমাননাকর বলে দেখছেন। এই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন নিজের অবস্থান। ‘ধূমকেতু’ ছবির প্রস্তাব পেয়ে কেন করেননি, সেই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “ওরা তো নেয়নি আমায়! ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য। ওদের মনে হয়েছে আমি ওই চরিত্রের জন্য যোগ্য নই, আর তাছাড়া দেব-শুভশ্রীর ভক্তের সংখ্যাও বেশি। দু’জনকে একসঙ্গে খুব সুন্দর লাগে, আমিও ওদের ভক্ত।

আমার কোনও আক্ষেপ নেই যে আমাকে নেয়নি। হয়তো ছবিটা এতো ভালো হতোই না যদি আমি থাকতাম।” অভিনেত্রীর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট যে, পুরো ঘটনার প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ইতিবাচক। তবে দেবের বক্তব্য ঘিরে সমালোচনা কম হয়নি। শুভশ্রীর ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজ মাধ্যমে। অনেকেই বলেছেন, ব্যক্তিগত জীবনের কারণ টেনে একজন অভিনেত্রীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অন্যায়। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দেব আসলে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভুলভাবে বক্তব্য রেখেছেন।

আরও পড়ুনঃ একেই বলে মানব দরদী! বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে সাত ঘণ্টার ইডি জেরার পরও মানুষের বিপদে পাশে থাকলেন সোনু সুদ! মুগ্ধ দেশ

কিন্তু এসবের মাঝেই শ্রাবন্তীর সহজ-সরল উত্তরকেই অনেকেই প্রশংসা করছেন। এদিন শ্রাবন্তী নিজের অবস্থান যেভাবে তুলে ধরলেন, তাতে অভিনেত্রীর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গাই নেই। অন্য দুই তারকার মধ্যে চলা এই বিতর্কে নিজেকে টেনে না এনে বরং তিনি নম্রভাবে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই মন্তব্য প্রমাণ করেছে যে শিল্পী হিসেবে তিনি যেমন অভিজ্ঞ, তেমনি মানসিকতার দিক থেকেও পরিণত। আর এই কারণেই শ্রাবন্তীর প্রতিক্রিয়া আলাদা করে গুরুত্ব পাচ্ছে টলিপাড়ার আলোচনায়।