দীর্ঘ এক বছর টেলিভিশনপর্দা থেকে দূরে থাকার পর ফের দর্শকদের জন্য চমক আনলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী—এইবার অভিনয় নয়, পুজোর মরশুমে দর্শকদের জন্য কি নতুন উপহার দিলেন অভিনেত্রী?

টেলিভিশনে দীর্ঘদিনের বিরতির পর ফের এলেন টেলিভিশন পর্দার আলোচনায় অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। পূজোর আবহে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা আর কাজের স্মৃতিচারণ যেন ভক্তদের নতুন করে আকর্ষিত করছে। অভিনয়ের পাশাপাশি এবার তিনি তুলে ধরেছেন তার জীবনের কিছু মুহূর্ত।

বহু বছর ধরে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এই সময়ে অভিনেত্রী ছিলেন থিয়েটার আর যাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তাঁর কথায়, এই মঞ্চ তাঁকে অন্যরকম আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, যাত্রার দলে হিরো আর হিরোইনদের জন্য সবসময় আলাদা সম্মান থাকত। এমনকি খাওয়ার সময় বড় মাছের টুকরোটাও তাদের জন্যই বরাদ্দ থাকত। শিল্পীদের জীবনে এসব ছোটখাটো ঘটনা যে কতখানি আনন্দ দিত, তা তিনি আজও ভোলেননি।

শুধু যাত্রাপালা নয়, শুটিং ফ্লোরেও অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী। একবার একটি হোমস্টেতে শুটিং চলাকালীন মাঝরাতে হঠাৎ অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়। ঘরের বাইরে যেন কেউ হাঁটছে, আবার হঠাৎ করেই একটি আয়নার টুকরো মেঝেতে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো পরিবেশ ভৌতিক হয়ে ওঠে। ভয় কাটাতে তখন তিনি হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করেন। আশ্চর্যের বিষয়, সেই প্রার্থনা করার পরই সমস্ত অস্বস্তি যেন হঠাৎ থেমে যায়।

এইসব অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সুদীপ্তা বললেন, অভিনয় মানেই শুধু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো নয়, বরং প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার জায়গা। যাত্রা হোক বা টেলিভিশন—প্রতিটি মাধ্যম তাঁকে গড়ে তুলেছে। তবে তিনি এটাও খোলাখুলি স্বীকার করেছেন, টেলিভিশনে কাজ করতে চাইলে পারিশ্রমিক এবং অনিশ্চয়তার সঙ্গে সমঝোতা করতেই হয়। তবু দর্শকের ভালোবাসা তাঁকে বারবার এই জগতে টেনে আনে।

আরও পড়ুনঃ “বাবার চোখের সামনেই নায়কদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেছি!” “অতি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে আমার বিপরীতে নায়করাও পর্যন্ত অস্বস্তিতে পড়ে যেত, তাও বাবাকে সরানো যেত না!— অভিনয় জীবনের অজানা দিক নিয়ে অকপট শতাব্দী রায়!

পুজোর আবহে এবার দর্শকদের জন্য আরও এক চমক নিয়ে এলেন সুদীপ্তা। তাঁর কণ্ঠে মুক্তি পেয়েছে বিশেষ গান—‘থ্যাংক ইউ দুগ্গামা’। এই গানকে তিনি ভক্তিমূলক নিবেদন হিসেবে তুলে ধরতে চান, যেখানে রয়েছে কৃতজ্ঞতা আর আনন্দের সুর। অভিনেত্রীর কথায়, “পুজো মানেই মিলন, আনন্দ আর মায়ের আশীর্বাদ। আমি চাই এই গান যেন সবাই শোনেন।”