স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ও মোর দরদিয়া’ মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে। রণিতা দাস ও বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রসায়ন ইতিমধ্যেই ছোটপর্দায় ঝড় তুলেছে। গল্প, অভিনয় ও আবেগ—সব মিলিয়ে ধারাবাহিকটি রেটিং তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে সহজেই। আর এই জনপ্রিয়তাই এবার পৌঁছে যাচ্ছে মুম্বই পর্যন্ত! কারণ, আসছে এর হিন্দি রিমেক—‘শেহজাদি হ্যায় তু দিল কী’, যা শিগগিরই সম্প্রচারিত হবে স্টার প্লাসে।
হিন্দি সংস্করণে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী অশিকা পাড়ুকোন ও অঙ্কিত রায়জাদাকে। গল্পের মূল সুর রয়ে গিয়েছে একই—এক তরুণীর সংগ্রামের গল্প। বাণীর মতোই এখানে অশিকার চরিত্রটি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর দ্বারা পরিত্যক্ত হয়। একা পথে নামতে গিয়ে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে, আর ঠিক তখনই জীবনে আসে অঙ্কিতের চরিত্রটি, যে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় এবং সন্তানের জন্মের পর ধীরে ধীরে সেই মা ও শিশুর প্রতি গভীর টান অনুভব করতে শুরু করে।
ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ‘শেহজাদি হ্যায় তু দিল কী’-এর প্রথম ঝলক। গল্পের মিল দেখে দর্শক সহজেই বুঝে গিয়েছেন, এটি আসলে বাংলার ‘ও মোর দরদিয়া’-র হিন্দি রিমেক। তবে নতুন চরিত্র, নতুন শহর ও সংস্কৃতির মিশ্রণে এই রিমেক কতটা সাড়া ফেলতে পারে, তা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে।
অন্যদিকে, বাংলার সংস্করণে খলনায়িকার চরিত্রে রয়েছেন অভিজ্ঞ অভিনেত্রী তনুকা চট্টোপাধ্যায়। ‘কথা’ ধারাবাহিকের পর ফের এই ধারায় তাঁকে দেখে খুশি দর্শক। পাশাপাশি, ধূসর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সোমাশ্রী ভট্টাচার্যকে, যিনি ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের চরিত্রেই সমান দক্ষ। জানা গিয়েছে, তনুকার চরিত্রই ছোটবেলায় রণিতা ও সোমাশ্রীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ “কুড়ি বছরের দাম্পত্য ভেঙে অন্য সঙ্গী চাইলে, সেটা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত!” “বিচ্ছেদের পর নতুন সম্পর্ক মানেই অন্যায় নয়!”— ‘চিরসখা’র কমলিনী, অপরাজিতার স্পষ্ট মত! ‘তাহলে সবাই স্বৈরাচারী হয়ে উঠবে আর কেউ কাউকে সম্মান করবে না, এটা সমাজের জন্য প্রযোজ্য নয়!’— পাল্টা যুক্তি দর্শকদের!
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন ফাহিম মির্জা ও সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাহিমকে দেখা যাচ্ছে এক নেতিবাচক চরিত্রে, আর সৈরিতি রণিতার সতীনের ভূমিকায়। সব মিলিয়ে, ‘ও মোর দরদিয়া’ যেমন বাংলা দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তার হিন্দি রূপ *‘শেহজাদি হ্যায় তু দিল কী’*ও এবার একইভাবে হৃদয়ে দাগ কাটবে বলেই আশাবাদী অনুরাগীরা।






