প্রথম ছবি মুক্তির স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে হাজার কাঁটা থাকা সত্ত্বেও যে মানুষ এতটুকু ভেঙে না পড়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে জিতে নিলেন, তিনি নবাগত পরিচালক জয়ব্রত দাস। ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ (The Academy Of Fine Arts) ছবির টিমের স্বল্প পরিসর, ফেডারেশনের অভাব-অভিযোগ থেকে টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার মাঝেও তিনি শুধু চাইছিলেন ছবিটা বড় পর্দায় পৌঁছোতে। শেষমেশ যখন জানা গেল মুক্তি স্থগিত না থেকে শুরু করছে পথচলা, তখন পরিচালক যেমন স্বস্তি পেলেন, তেমনি ছবির শিল্পীরাও লড়াইটা জিতে নেওয়ার আনন্দটা পেলেন।
গত ১৪ তারিখ মুক্তির কথা থাকলেও, নানান জটিলতার কারণে সেটা আটকে যায়। অবশেষে ২১ তারিখ ছবিটি মুক্তি পেলাম। সকাল হতেই দেখা গেল মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে প্রথম শো-ই হাউসফুল! এদিনের ছবির শেষে দর্শকদের থেকে মতামত জানাতে হাজির হয়েছিলেন, ছবির অভিনেতা সৌরভ দাস, রুদ্রনীল ঘোষ, ঋষভ বসু আর পরিচালক জয়ব্রত দাস। ছবির অভিনেতাদের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট যে, সবার অবদান ছিল সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রুদ্রনীলকে বলতে শোনা গেল, “একটা ছবি বানানোর পেছনে পরিশ্রম সবার থাকে।
যে কোনও ছবির ক্ষেত্রে পরিশ্রমই আদল কিন্তু এই ছবিটা ঘটি-বাটি বিক্রি করে বানানো একটা ছবি। এই ছবিটা বানানোর পেছনে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সবটা দিয়ে দিয়েছে। আমরাও পারিশ্রমিকের চিন্তা দূরে রেখে, যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। টাকা পয়সার অভাবেও যে এমন ছবি বানানো যায়, তার পুরো কৃতিত্বটা জয়ব্রতের লেখনীর উপর দাঁড়িয়ে।” অন্যদিকে সৌরভ দাস পুরো ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাশে থেকেছেন। মুক্তির দিন এগিয়ে আসতেই তিনি বুঝেছিলেন ছবিটা নিয়ে মানুষের কৌতূহল বাড়ছে।
তাঁর কথায়, “চারিদিকে যেসব প্রতিক্রিয়া কানে আসছে এই ছবিকে ঘিরে বা ট্রেলার নিয়ে, তাতে এই ছবিটা সকলের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজন ছিল। পরিচালক রানা সরকার এই ছবিটাকে বুম্বাদার ‘অটোগ্রাফ’ ছবির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমন তুলনার পর আমার মনে হয়, সবার দেখার প্রয়োজন ছিল এটা।” এদিকে ছবির পরিচালক সঞ্চিত অর্থের সমস্তটাই খরচা করে দিয়েছেন এই ছবির পেছনে। তাই যখন মুক্তি আটকে গেছিল, মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ছবির পথ আটকে গিয়েছিল মূলত টেকনিশিয়ানদের বকেয়া টাকা নিয়ে জটিলতার জন্য।
আরও পড়ুনঃ “ও মাই গড! এমন গ্ল্যামারাস প্রযোজক, কাঞ্চন ভীষণ মিস করছে!” শ্রীময়ীর ভাইরাল মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল! ‘এমন একটা স্ত্রী হলে আর চিন্তা নেই, নির্লজ্জের মতো স্বামীর জন্য নতুন সুন্দরী খুঁজতে বেরিয়েছে!’ ‘তিনটে বিয়ে করেও শখ মেটেনি! আরও গ্ল্যামারের মেয়ে দরকার?’ কটা’ক্ষবিদ্ধ কাঞ্চনপত্নী!
প্রযোজকের বকেয়া মেটানোর পরেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় আর নতুন মুক্তির তারিখ ঠিক হয়। এদিকে শিল্পীরাও জানিয়েছিলেন, প্রচারের অর্থ নেই। তবু দর্শকের আগ্রহ কমাতে পারেনি, বরং যেন যে মুখে মুখেই ছবির শক্তি পৌঁছে গেছে মানুষের কাছে। মুক্তির দিন জয়ব্রতের মুখে স্বস্তির ছাপ আর গলায় তখন একটাই সত্যিকারের অর্জনের অনুভূতি। তিনি বললেন, “তেমন কোনও আশা না থাকলেও, চেয়েছিলাম বড় পর্দায় আমাদের ছবি চলুক। দর্শকরা যে এই ছবি দেখছেন আর এত ভালোবাসা দিচ্ছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি।” সব মিলিয়ে, এটি ভিন্নধারার এমন একটি ছবি যা দর্শকদের মন পুরোপুরি ভাবে ছুঁতে পেরেছে আর একদল নতুন মানুষের অবিশ্বাস্য সংগ্রামের গল্প হয়ে উঠেছে।






“ও মাই গড! এমন গ্ল্যামারাস প্রযোজক, কাঞ্চন ভীষণ মিস করছে!” শ্রীময়ীর ভাইরাল মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল! ‘এমন একটা স্ত্রী হলে আর চিন্তা নেই, নির্লজ্জের মতো স্বামীর জন্য নতুন সুন্দরী খুঁজতে বেরিয়েছে!’ ‘তিনটে বিয়ে করেও শখ মেটেনি! আরও গ্ল্যামারের মেয়ে দরকার?’ কটা’ক্ষবিদ্ধ কাঞ্চনপত্নী!