সাম্প্রতিক সময়ে গান নয়, বরং বক্তব্য নিয়েই আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন কবীর সুমন। রাজনৈতিক অঙ্গনে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পথচলাকে লক্ষ্য করছেন, তাঁদের কাছে বিষয়টি নতুন নয়। তবুও, তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্য আবারও কৌতূহল বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অনেকেই জানেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মতাদর্শ, রাজনৈতিক অবস্থান এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাংস্কৃতিক মহল—সব জায়গাতেই তাঁর বক্তব্য আলোড়ন তুলেছে বারবার। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর নতুন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই আরও রহস্য তৈরি করেছে। তিনি কাকে লক্ষ্য করে বলছেন এবং কেন এমন দাবি করলেন—এ নিয়েই শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক।
বিশেষ করে বামপন্থী দর্শন নিয়ে তাঁর অতীতের অবস্থান বহুবার চর্চায় এসেছে। তিনি বামপন্থার সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে কখনও অস্বীকার করেননি, আবার কখনও কিছু দলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। ফলে নতুন মন্তব্য উঠে আসতেই পুরনো বিতর্কগুলো যেন ফের জেগে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ বারবার সরব হয়েছেন সরকারের বিভিন্ন কাজের বিরুদ্ধে! এবার সোজাসুজি মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে প্রাপ্ত সরকারি টাকা দান করে দিলেন আরজি কর প্রতিবাদ মঞ্চে! ব্যতিক্রমের অপর নাম চন্দন সেন
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে “মার্ক্সবাদী” বলে দাবি করলেও স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি কোনওভাবেই সিপিএমের অংশ নন। তাঁর কথায়, বাম দর্শনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু বাম রাজনীতির পরিচিত কাঠামো বা দলের মধ্যে নিজেকে তিনি কখনও যুক্ত করেননি। এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন “মার্ক্সবাদ কোন বিশেষ দলীয় পার্টির পৈত্রিক সম্পত্তি নয়”
তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষে যদি সাম্যবাদ আনতেই হয় এবং ধনী দরিদ্র এই বিভেদটা মেটাতে হয় তাহলে মার্ক্সবাদ আনতেই হবে। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠছে—শিল্পীর রাজনৈতিক পরিচয় কি শুধুই মতাদর্শগত, নাকি এর পিছনে আরও গভীর ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে?






