টেলিভিশন দুনিয়ায় শ্রুতি দাস নিজের অভিনয়যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০১৯ সালে ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। প্রথম ধারাবাহিকেই নজর কাড়েন দর্শকদের। এরপর ‘দেশের মাটি’-তে নোয়া চরিত্রে তাঁর অভিনয় আরও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। মাঝের কিছুটা কঠিন সময় পার করলেও ‘রাঙা বউ’-এ ফিরেই আবারও প্রমাণ করেন তাঁর অভিনয়দক্ষতা। কেরিয়ারের ওঠাপড়া নিয়ে একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্টও করেছিলেন তিনি।
টেলিভিশনের পাশাপাশি বড়পর্দা ও ওটিটি—দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে কাজ করেছেন শ্রুতি। ‘আমার বস’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। পরে হইচইয়ের ‘ডাইনি’ ওয়েব সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আবারও দর্শকের মন জিতে নেন। ‘ছায়াসঙ্গী’ মাইক্রো ড্রামায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। পাশাপাশি আগামীতে উইন্ডোজের নতুন ছবি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এ তাঁকে দেখা যাবে বলে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। বর্তমানে জি বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’-য় তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে নজর কাড়ছে।
ঠিক এই জনপ্রিয়তার মাঝেই সামনে এল অভিনেত্রীর চমকে দেওয়া মন্তব্য। অভিনেত্রীর কথায়—“অহেতুক কোনও চিত্রনাট্যে যদি চুম্বন দৃশ্য থাকে সেটা করতে পারব না। এর সঙ্গে বিবাহিত বা অবিবাহিত হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।” তাঁর মতে, স্ক্রিপ্টে যদি চরিত্রের স্বার্থে, গল্পের প্রয়োজনে কোনও দৃশ্য থাকে তা নিয়ে তিনি পুনর্বিবেচনা করবেন। কিন্তু শুধুমাত্র আকর্ষণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে লেখা দৃশ্য কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুনঃ কাজ কম, চাপ বেশি, একটা কাজ পেলে তা সম্প্রচার হতে সাত আট মাস লেগে যায়!—‘দিন আনি দিন খাই’ পরিস্থিতি! কিভাবে নিজের সংসার চালান অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়?
শ্রুতির এই সরাসরি মন্তব্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। শিল্পীর ব্যক্তিগত সীমারেখা নিয়ে তাঁর এই অবস্থানকে কেউ সাধুবাদ দিচ্ছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন বর্তমান কন্টেন্ট ট্রেন্ডের সঙ্গে কতটা মানাবে এই সিদ্ধান্ত। তবে একথা মানতেই হবে—নিজের সিদ্ধান্তে তিনি স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসী এবং অভিনয় জগতে নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করতেই এই পথে হাঁটছেন।






