জীবনের মোড় ঘুরে যেতে কখনও কয়েকটা মুহূর্তই যথেষ্ট। একদিন যে মানুষ স্পটলাইটে ছিলেন, ভিড়ের কেন্দ্রে ছিলেন, সেই একই মানুষ হঠাৎ একদিন একাকিত্বে ভেঙে পড়েন— এমন গল্প আমরা নিত্যদিন দেখি, শুনি। গ্ল্যামার দুনিয়ার ঝলমলে আলোর আড়ালে ঠিক কতটা অন্ধকার লুকিয়ে থাকতে পারে, তা ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়।
টলিপাড়ায় একসময় যার নাম মানেই ছিল স্টাইলিংয়ের ট্রেন্ড— সেই সন্দীপন ঘোষাল ওরফে স্যান্ডি আজ কঠিন মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন। বছর খানেক আগেও তাঁর চারপাশে ঘিরে থাকতেন নামী-দামী নায়িকারা। কোন পোশাকে কাকে উজ্জ্বল লাগবে, কোন লুকে দর্শকের চোখ আটকে যাবে— সবটাই ছিল তাঁর নখদর্পণে। কিন্তু আজ সেই মানুষটিকে চিনতেই পারবেন না অনেকে।
দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন স্যান্ডি। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেত্রী বিয়াস রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন, স্যান্ডির অবস্থার অবনতি এতটাই যে পূর্বের পরিচিত ‘বন্ধু-বান্ধবী’ প্রায় সকলেই দূরে সরে গিয়েছেন। যাঁদের জন্য দিনরাত এক করে তিনি কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকেই ফোন পর্যন্ত ধরেননি— এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিয়াস।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্যান্ডি নিজেই জানান, “আমি কাজ করেই খেতে চাই।” তাঁর কথায় বোঝা যায়, অসুস্থতা যতই ভয়ংকর হোক, হাল ছাড়েননি তিনি। আবার মূলধারায় ফিরতে চান, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর তীব্র ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। এখান থেকেই শুরু হয় আসল প্রশ্ন— যে মানুষ টলিপাড়ার অগণিত তারকার সাজের নেপথ্যনায়ক ছিলেন, তাঁর দুর্দিনে কেন পাশের মানুষ এত কম?
আরও পড়ুনঃ দীপান্বিতার জীবনে নতুন অধ্যায়! এবার বিয়ের পিঁড়িতে নায়িকা? পাত্র কে? নায়িকার বিয়ে ঘিরে টেলিপাড়ায় শুরু জোর চর্চা
বিয়াস রায়ের অভিযোগ আরও তীব্র— গত এক দশক যাঁদের স্যান্ডি নিজের মেধা দিয়ে উজ্জ্বল করেছেন, তাঁরাই নাকি আজ দূরত্ব বজায় রেখেছেন। শুধু কোয়েল মল্লিকই নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন বলে দাবি তার। তিনি সরাসরি অনুরোধ জানিয়েছেন— স্যান্ডির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসুন, সাহায্য করুন, একজন শিল্পীর জীবন বাঁচাতে সবার মিলিত চেষ্টা অত্যন্ত জরুরি এখন।






