বিনোদন জগতে তারকাদের কথা অনেক সময় শুধুই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাঁদের বলা একটি বাক্য, একটি মতামত বা একটি স্বীকারোক্তি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ভাবনার সঙ্গে অদ্ভুতভাবে মিলে যায়। পর্দার আড়ালের এই বক্তব্যগুলো কখনও সমাজকে প্রশ্ন করতে শেখায়, কখনও আবার সম্পর্ক, জীবন ও মূল্যবোধ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। তাই তারকাদের কিছু কথা নিছক খবর নয়, বরং তা হয়ে ওঠে চিন্তাশক্তি বাড়ানোর এক নীরব উদ্যোগ।
বাংলা গানের জগতে লোপামুদ্রা মিত্র মানেই জীবনমুখী সুর, কবিতার ভাষা আর গভীর অনুভূতির মেলবন্ধন। ফোক, আধুনিক, রবীন্দ্র সংগীত—সব ক্ষেত্রেই তাঁর স্বতন্ত্র উপস্থিতি দীর্ঘদিনের। ‘কবিতার গান’-এর ধারাকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। প্রায় তিন দশকের সংগীতজীবনে তিনি শুধু গায়িকা নন, এক ধরনের চিন্তার প্রতিনিধিও হয়ে উঠেছেন।
বর্তমানে তিনি ব্যস্ত তাঁর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সহজ পরব’-এর সপ্তম সিজন নিয়ে। কালিকা প্রসাদের দেখা স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব যে আজও তিনি সমান গুরুত্ব দিয়ে পালন করছেন, তা বারবার উঠে আসছে তাঁর কথায়। পাশাপাশি, সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকারের সঙ্গে তাঁর ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনও ভক্তদের কৌতূহলের বিষয়। তাঁদের সম্পর্কের মিষ্টি খুনসুটি, বোঝাপড়া আর বন্ধুত্বের গল্প বারবারই আলাদা করে নজর কেড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি লোপামুদ্রা মিত্র জানিয়েছেন— “দাম্পত্যে স্বাধীনতা আর সম্মান, দুটোই সমান জরুরি।” এই একটি বাক্যেই যেন ধরা পড়ে তাঁর জীবনদর্শন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সম্পর্ক মানে একে অপরকে বেঁধে রাখা নয়, বরং পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পথ চলা। তাই সামাজিক বিয়ের বদলে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সিদ্ধান্ত, কিংবা মা না হওয়ার মতো ব্যক্তিগত বিষয়েও তিনি কখনও রাখঢাক করেননি।
“অশুভ শক্তির কবলে পড়ে বাংলা ছটফট করছে, একজন বাঙালি হিসেবে এই দৃশ্য ভিতর থেকে আঘাত করে!” টলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ অপর্ণা সেনের, শিল্পী হিসেবে কোন প্রশ্ন তুললেন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ নিয়ে?
সমাজের নানা ঘটনাতেও তাঁর অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হোক বা নারীর স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন—সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজের বিবেকের কথা বলেছেন। সুরের মতোই তাঁর কথাও সোজাসাপটা, গভীর এবং চিন্তার খোরাক জোগায়। আর সেখানেই হয়তো লোপামুদ্রা মিত্র আলাদা।






