বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি (Bangladesh Unrest) অনেককেই অস্থির করে তুলেছে। সীমান্ত পেরিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা, সহিংসতার অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার খবর মিলিয়ে দেশজুড়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তার ছায়া। কোথাও কোথাও সংবাদ মাধ্যমের দফতরেও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে, তো কোথাও মানুষ! এই সব ঘটনার মধ্যেই একাধিক পরিচিত মুখ, যাঁদের জীবনের সঙ্গে বাংলাদেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত তাঁরাও মানসিক ভাবে আহত। পরিস্থিতির এই রুক্ষ রূপ দেখে উদ্বেগ লুকোচ্ছেন না টলিউডের অভিনেত্রী ‘ইধিকা পাল’ (Idhika Paul)।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে দেবের সঙ্গে তাঁর তৃতীয় ছবি ‘প্রজাপতি ২’। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি দেবও নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্যেও ছিল ভয়। তিনি বলেন, ‘খবর দেখে মাঝেমধ্যে মনে হয় চারদিকে যুদ্ধের মেঘ জমছে, যা কারও জন্যই ভালো নয়। মানুষের আসল চাওয়া তো খুব সাধারণ। দুই বেলার খাবার, মাথার উপর একটা ছাদ আর নিজের মানুষদের নিরাপদ রাখা। তার জন্য হিংসা বা যুদ্ধ কখনওই সমাধান হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, ইধিকার কেরিয়ারের বড় মোড় এসেছিল বাংলাদেশের হাত ধরেই। একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল এই পার বাংলা ছেড়ে ওপার বাংলায় পা রেখেই। ওপারের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিয়তমা’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ আর প্রথম ছবিতেই জনপ্রিয়তা মেলে আকাশ ছোঁয়া। এই যাত্রাটা তাঁর কাছে শুধুই পেশাদার সাফল্য নয়, আবেগেরও। বাংলাদেশের দর্শক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন, তা বারবারই উল্লেখ করেছেন।
তাই আজ সেই দেশকে অশান্ত, ক্ষুব্ধ অবস্থায় দেখে তাঁর কষ্ট পাওয়াটা স্বাভাবিক। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইধিকা খুব সংযত ভাষায় নিজের অনুভূতির কথা বলেছেন। তাঁর কথায় ছিল আক্ষেপ আর প্রার্থনা। তিনি বলেন, “আমি যে দেশটাকে শিল্প-সংস্কৃতির সম্মান করতে দেখেছি, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা দেখেছি। সেই জায়গায় এখন এত রাগ আর অস্থিরতা দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। মন থেকে চাই, দ্রুত সবকিছু স্বাভাবিক হোক আর মানুষ শান্তিতে থাকুক, নিরাপদে থাকুক।”
আরও পড়ুনঃ “দাম্পত্যে স্বাধীনতা আর সম্মান, দুটোই সমান জরুরি”—তারকাখচিত আদর্শ ভেঙে সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা দিলেন লোপামুদ্রা মিত্র! দাম্পত্য জীবন নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কি বার্তা দিলেন গায়িকা?
অর্থের দিক থেকে কথাগুলো খুব সহজ, কিন্তু তার ভিতরে ছিল গভীর টান। একসময় কাজের সূত্রে তাঁর বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল নিয়মিত, কিন্তু পরিস্থিতি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই যাতায়াতেও এখন স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণ এসেছে। তবু দূরে থেকেও দেশের খোঁজ রাখছেন। খবর দেখছেন আর মনে মনে কামনা করছেন যেন এই অস্থির সময় দ্রুত কেটে যায়। দেবের মতোই ইধিকার কথার শেষেও ছিল একটাই কামনা যে সবাই যেন ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে আর বাকি সব তারপর।






