বিনোদন জগতের তারকারা যখন নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা, ভাবনা বা দর্শনের কথা প্রকাশ্যে বলেন, তখন তা শুধু খবর হয়ে ওঠে না—দর্শকের জীবনের সঙ্গেও কোথাও যেন মিল খুঁজে পায়। ঝলমলে পর্দার আড়ালের বাস্তবতা, সাফল্যের পাশাপাশি সংগ্রামের গল্প—এই সবকিছুই মানুষ জানতে চায়। তাই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছোট ছোট মন্তব্যও অনেক সময় বড় আলোচনার জন্ম দেয়, যা সাধারণ মানুষের ভাবনাকেও নাড়িয়ে দেয়।
কনীনিকা ব্যানার্জি বাংলা বিনোদন জগতের এমন এক নাম, যাঁকে দর্শক বছরের পর বছর ধরে দেখে আসছেন। থিয়েটার থেকে শুরু করে টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর অভিনয় বরাবরই বাস্তবধর্মী ও শক্তিশালী। চরিত্রের গভীরে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা করে চিনিয়েছে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও তিনি বরাবরই নিজেকে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি রেখেছেন।
কনীনিকার ব্যক্তিত্বের বড় দিক হল তাঁর বাস্তববোধ। লাইমলাইটে থেকেও তিনি কখনও অতিরিক্ত জাঁকজমক বা কৃত্রিমতা পছন্দ করেন না। কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাই তাঁর শক্তি। সেই কারণেই তাঁর বলা কথাগুলো অনেক সময় বিনোদন জগতের প্রচলিত ধারা থেকে আলাদা শোনায়।
সম্প্রতি কনীনিকা ব্যানার্জি বলেন, “আমার যখন কাজ থাকে না, আমি পার্লারে যাই না।” এই একটি বাক্যেই যেন লুকিয়ে আছে তাঁর জীবনদর্শন। তাঁর মতে, কাজ না থাকলে অকারণ খরচ করে নিজেকে অন্যরকম দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, “দশ টাকা পকেটে নিয়ে, তুমি দশ হাজার টাকার মতো ব্যবহার করতে পারো না।” অর্থাৎ, নিজের আর্থিক অবস্থান বুঝে চলাটাই আসল।
আরও পড়ুনঃ “বাংলাদেশের মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে, এখন সেই দেশটাই অস্থির দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার!” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ইধিকা পালের! ওপার বাংলায় কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অভিনেত্রীর!
কনীনিকার এই বক্তব্য আসলে আজকের ভোগবাদী মানসিকতার বিরুদ্ধেই এক নীরব প্রতিবাদ। দেখনদারির জন্য ধার করে জীবনযাপন নয়, বরং যা আছে, তাতেই আত্মসম্মান বজায় রেখে বাঁচাই তাঁর বার্তা। গ্ল্যামারের দুনিয়ায় থেকেও এমন সোজাসাপ্টা কথা বলা সহজ নয়। আর সেই কারণেই কনীনিকা ব্যানার্জির এই মন্তব্য অনেক দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে।






