টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan)। কলকাতাবাসী নুসরাত অন্য সকলের মতোই পুজো আসলে মেতে ওঠেন ঢাকের তালে। হিন্দু ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস অটুট। বিয়ে করেছেন হিন্দু নায়ক যশ দাশগুপ্তকে। একমাত্র ছেলে ঈশানকে নিয়ে পুজোয় আনন্দ করবেন তিনি। মুসলিম অভিনেত্রী বললেন, তিনি অষ্টমীতে অঞ্জলি দেবেন। ভোগ খাবেন। কারণ, “বিশ্বাস কোন ধর্মের উপর নির্ভর করে না…।”
অষ্টমীতে অঞ্জলি দেবেন, ভোগ খাবেন নুসরত!
পুজোর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে নুসরাতের। তাঁর মনে আছে, ছোটবেলায় কনভেন্ট স্কুলে একটু কম ছুটি পেতেন। কিন্তু তার মধ্যেও চেষ্টা করতেন যতটা সম্ভব আনন্দ করে নেওয়া যায়। নুসরতের মাসির বাড়ি বেহালায়। তাই ভাই-বোনেদের নিয়ে তিনি একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতেন। সেই স্মৃতি আজও তাঁর মনের মধ্যে জীবন্ত।
অভিনেত্রীর কথায়, তখন সুযোগ পেলে কখনও বাইকে, কখনও আবার বাসে চড়ে এলাকা ভাগ করে ঠাকুর দেখতেন। তখন মোটেও মাথায় আসত না, নতুন জুতোয় পা কেটে যাচ্ছে কিনা বা খিদে পাচ্ছে কি না। একদিন সারারাত ঠাকুর দেখে যদি তাঁর শরীর খারাপ করত, তা হলে তিনি পরের দিন বিশ্রাম নিতেন। তারপর আবার বেড়িয়ে পড়তেন ঠাকুর দেখতে। সেই সব দিনগুলো তিনি খুব মিস করেন। তবে পুজোর মধ্যে একটা দিন তাঁর নির্দিষ্ট থাকত, সে দিন তাঁর বাবা নিয়ে যেতেন সকলকে ঠাকুর দেখাতে।
এই বছর পুজোর আগে বেজায় ব্যস্ত যশ, নুসরত। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যশকে বলেছেন সঙ্গে নিয়ে একটু বেরোতে। মা, বাবা এবং বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কারণ ব্যস্ততার জন্য প্রতিবছর পুজোর কেনাকাটা করতে শেষ মুহূর্তে সময় পান। একমাত্র ছেলে ঈশানের এখন সাড়ে তিন বছর বয়স। সে অনেকটাই বড় হয়েছে। তবে গত বছর ওকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। মণ্ডপের আলোকসজ্জা দেখতে খুব পছন্দ করে ঈশান। আগের বছর ঢাকের তালে একটু নেচেওছে সে। অভিনেত্রী বললেন, “এখন ও পুজো বিষয়টা একটু বোঝার চেষ্টা করে। ‘দুগ্গা আসছে’-গোছের অল্পবিস্তর কথাও বলছে।”
আরও পড়ুন: ফের নায়িকার মুখ বদল! গুরুতর অসুস্থ তেঁতুলপাতার অভিনেত্রী ঋতব্রতা দে, বদলে যাচ্ছে নায়িকা, নতুন চরিত্রে কে?
প্রত্যেক বছর অষ্টমীর দিনটা খুব সুন্দর করে কাটান অভিনেত্রী। দুপুরে তিনি ভোগ খেতে খুব ভালবাসেন। আর এর জন্য তাঁকে কটাক্ষ সইতে হয়েছে! কিন্তু তার পরেও তিনি অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেন। আর আগামী দিনেও অঞ্জলি দেবেন বলে জানালেন। কারণ, নুসরতের কথায় ‘বিশ্বাস কোনও ধর্মের উপর নির্ভর করে না। কোনও ভাষার উপরেও নির্ভর করে না। বিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’ ট্রোলিংকে বিশেষ পাত্তা দেন না অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “চারটে লাইন লিখে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে চিনিও না, জানিও না। তাই পাত্তাও দিই না।”