শুধু একজন ভালো গায়ক নয় তিনি ভাল মনের মানুষ এবং মাটির মানুষ। যতবার অরিজিৎ সিং সম্পর্কে আলোচনা উঠেছে ততবার দর্শকরা এই একই কথা বারবার দাবি করে এসেছে। এর কারণ অরিজিৎ সামনে যা পেছনেও একইরকম ব্যক্তিত্ব। এ বিশ্ব বিখ্যাত গায়কের ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক হিট গান সেই সঙ্গে একের পর এক বড় বড় পুরস্কার এবং সম্মান তবুও বিন্দুমাত্র অহংকারের লেশ নেই।
ঠিক এই বিষয়টাই দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে গায়ক অরিজিৎ সিং এর চেয়ে বেশি মানুষ অরিজিৎ সিংকে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জবাসীর কাছে ত্রাতা হয়ে উঠেছেন তিনি।
এমনিতেই সেখানকার ঘরের ছেলে হিসেবে থাকেন অরিজিৎ সিং। বিদেশে বেশ কিছু বাড়ি থাকলেও বরাবর নিজের বাড়িতেই একেবারে সাদামাটাভাবে থাকতে ভালোবাসেন তিনি। কখনো কম দামি স্কুটিতে এলাকায় ঘুরে বেড়ান আবার কখনো কোন বডিগার্ড না নিয়েই খোলামেলা অনুষ্ঠানে চলে যান নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করতে।
এবার হঠাৎ হাজির হয়েছিলেন ছোটবেলার বন্ধু শংকর মন্ডলের নার্সিং কলেজে। সেখান থেকে সামনে এলো গায়কের এক নতুন উদ্যোগের কথা। শুধু সংগীতের মাঝে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চান না অরিজিৎ, পাশাপাশি জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান এবার। তাই একটা বড়সড় উদ্যোগ নিলেন তিনি।
এবার বিনামূল্যে ইংরেজি প্রশিক্ষণের ক্লাস খুলতে চান গায়ক। না না তিনি ইংরেজি শেখাবেন না, তবে যাতে গ্রাম বাংলার সাধারণ ছেলে মেয়েরা ইংরেজি শিখে দুই একটা বড় চাকরি পেতে পারে তার চেষ্টা করতে চান তিনি।
কোন টাকা পয়সা দিতে লাগবেনা। এর জন্যে বড় বড় আটটা ঘর প্রয়োজন আর তাই ভরসা রেখেছেন নিজের বন্ধু শংকরের উপর। কোচিং সেন্টার খুলতে চলেছেন জিয়াগঞ্জ থানার কাছেই থাকা একটি নার্সিং কলেজে। বন্ধু শংকর জানিয়েছেন বড় মাপের ঘর পছন্দ হয়েছে একটা আর সেখানেই বন্ধু অরিজিৎ সেন্টার খুলতে চায়। অরিজিতের এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে জিয়াগঞ্জবাসী গর্বিত।
তবে তারা কেউ অবাক হয়নি কারণ তারা সকলেই অরিজিৎকে চেনে মাটির মানুষ হিসেবে। তার ব্যবহার সকলের কাছেই পরিচিত। মাস্তি নেক আগে নিজে যে স্কুলে পড়েছেন সেই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির ভার গ্রহণ করেছেন অরিজিৎ। তারপরে স্কুলের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে ইস্কুল যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।