৪৫ বছর হয়ে গেল বাংলা চলচ্চিত্রের চিরকালীন মহানায়ক উত্তমকুমার (Mahanayak Uttam Kumar) পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন। তবু আজও বাঙালির রোমান্স, আবেগ আর সিনেমার আলোচনায় তিনি অপরিহার্য। তাঁর মৃত্যুর দিনে প্রতি বছর ‘মহানায়ক সম্মান’ প্রদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁকে স্মরণ করে বাংলা। ২০১২ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মাননা এবারও একাধিক গুণীজনকে প্রদান করা হয়েছে।
এবছর মহানায়ক সম্মান পেলেন গৌতম ঘোষের মতো বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর পাশাপাশি স্বীকৃতি পেলেন সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী এবং ইমন চক্রবর্তী। অভিনয়ের জগতে গার্গী রায়চৌধুরীকেও এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। রূপসজ্জার ক্ষেত্রে সোমনাথ কুণ্ডু এবং শিল্প নির্দেশক আনন্দ আঢ্যও ‘মহানায়ক সম্মান’ পেলেন তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের পরিচিত ব্যক্তিত্বরা।
উপস্থিত ছিলেন– প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী, অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম, স্বরূপ বিশ্বাস সহ আরও অনেকে। উৎসবের আবহে ভরে উঠেছিল মঞ্চ, কিন্তু তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে শোনা গেল কড়া বার্তা। তিনি সরাসরি আঙুল তুললেন বর্তমান বাংলা ধারাবাহিকগুলোর বিষয়বস্তুর দিকে। নির্মাতাদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি বর্তমান বাংলা ধারাবাহিকগুলির বিষয়বস্তুকে কটাক্ষ করেছেন।
চ্যানেলের মালিকদের সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মতে, আজকের সিরিয়ালগুলোতে শুধুই বি’ষ, ষড়’যন্ত্র আর খু’নের ছড়াছড়ি। একাধিক পরিবারের মধ্যে অহেতুক অশান্তি দেখানো হচ্ছে, যা সমাজে ভুল বার্তা দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “এ ওকে বি’ষ দিচ্ছে, ও ওকে ব’ন্দুক ধরছে, এক পরিবারে তিনজন ঝগড়া করছে। একটা ভালো তো তিনটে ঝগড়ুটে ক্যারেক্টার, তা সমাজের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।” তিনি সরাসরি বলেন, “আমি সমস্ত টিভি সিরিয়ালের মালিকদের বলব, এটা তাঁদের হাতে আছে।
আরও পড়ুনঃ ডিভোর্সের পরেও মিস করেন ‘কুটনি বৌদি’ ডাক! আবার একসাথে থাকার ইঙ্গিত দিলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা?
দয়া করে খারাপ কিছু শেখাতে যাবেন না।” তিনি নির্মাতাদের অনুরোধ করেন যেন এই ধরনের ‘নেগেটিভ’ কনটেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে ভালো কিছু দেখান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বাচ্চারা এসব দেখে প্রভাবিত হচ্ছে, আ’ত্মহ’ননের মতো ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।” সিরিয়ালের গানের প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন তিনি। বাংলা ভাষার গানকে প্রাধান্য দিতে বলেন নির্মাতাদের। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “বাংলা গান আমাদের আবেগ, আমাদের সংস্কৃতি। সব ভাষার গান সুন্দর, কিন্তু বাংলা গান যেন হারিয়ে না যায়।”
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।