আমাদের সমাজের কিছু প্রচলিত রীতিনীতি রয়েছে যারা তার বাইরে গিয়েও অনেক সময় অনেক কিছু করে দেখাতে চায়। কিন্তু সেগুলো করে দেখাতে গেলে প্রতি পদে তাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়। ঠিক তেমনটাই হল রাধিকা।
এক্কা দোক্কা ধারাবাহিকে রাধিকা পোখরাজকে বিয়ে করেছে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে তার প্রবেশের পর থেকে দেখানো হচ্ছে শুধুই তার কপালে জুটছে লাঞ্ছনা, অপমান আর বঞ্চনা। শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি মানুষ তাকে নানা ভাবে নাস্তানাবুদ করতে চাইছে।
একমাত্র পোখরাজ অর্থাৎ রাধিকার স্বামী তাকে সত্যিকারের ভালোবেসে ফেলেছে। তাই সে তার স্ত্রীর সমর্থন করছে এবং স্ত্রীকে যাতে কোন কষ্ট করতে না হয় সেটা সামলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না এমনটা দেখে খুব দর্শনরাও।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের আরও একটি এপিসোড দেখানো হয়ে গেল যেখানে রাধিকা আর পোখরাজের ফুলশয্যার পর্ব ছিল। তবে দেখানো হয়েছে বাড়িতে কিছু আগত অতিথিকে খাওয়াতে হবে এবং তার জন্য তুই বাড়ির নতুন বউকে রান্না করতে হবে পোলাও। রাধিকা এবং বুবলু দুজনেই নিজের সাধ্যমত পোলাও রান্না করার চেষ্টা করে।
কিন্তু রাধিকার কিছু বদমাইশ ননদ রয়েছে তারা দুজন মিলে সেই রান্নায় ইচ্ছে করে লঙ্কার গুঁড়ো এবং নুন ঢেলে দেয়। ফলে অতিথিরা আর সেটা মুখে গ্রহণ করতে পারে না। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। বাড়ির সবাই রীতিমতো বিরক্ত হয়ে যায় রাধিকার এই অলক্ষ্মীর মতো আচরণে।
এবার এই নিয়ে দর্শকরা রীতিমতো বিরক্ত হয়ে গেছে। রাধিকা আর পোখরাজের কেমিস্ট্রি কম দেখানো হচ্ছে এবং শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার বেশি করে দেখানো হচ্ছে। তার উপরে দর্শকরা আরো একটি প্রশ্ন করেছে যে শুধুমাত্র ভালো পোলাও রান্না করতে পারলেই সেই মেয়ে ভালো বৌমা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে? এত শিক্ষিত ডাক্তারি পড়া একজন মেয়েকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করানো হচ্ছে। এতে সমাজের উপর খারাপ বার্তা যেতে পারে এমনটাই মনে করছে দর্শক। তাই লীনা গাঙ্গুলীর উপর সবাই ক্ষুব্ধ।