মৃত্যুর আগেও একতরফা প্রেমিকের জন্যে আকুল ছিল বিদিশা! জনপ্রিয় মডেলের মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে প্রেমিক-যোগ রহস্য
পল্লবী দের মৃত্যু রহস্যের জট কাটতে না কাটতেই শহরে আরও এক অভিনেত্রীর মৃত্যু। রহস্য মৃত্যুই বলা যায়। তিনি হলেন বিদিশা দে মজুমদার। দমদমের নাগেরবাজার থেকে নায়িকা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় গতকাল। আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু? তদন্ত শুরু করে দিয়েছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।
অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশার মৃত্যুতে মানুষের স্মৃতিতে আবার ফিরে আসছে অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যু। দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন।
আর্থিক চাপ নাকি কাজের চাপ নাকি ব্যক্তিগত সমস্যা? সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে বিদিশার নিকটজন বারবার বলছে নায়িকার প্রেমিকের নাম।
অনুভব বেরা, মেদিনীপুরের এই শিক্ষককে নাকি চোখে হারাতেন বিদিশা। বারবার তার সঙ্গে থাকতে চাই মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়াও করেছেন। তারপর নৈহাটির বাড়ি ছেড়েছেন। বাড়ি ছাড়ার পর প্রথমে বন্ধুদের বাড়িতে অস্থায়ী ঠিকানা গেড়েছিলেন বিদিশা। তারপর নাগেরবাজারের ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন তিনি।
তুমি কোনদিন নাকি প্রেমিকের মন পাননি মডেল। পুরোটাই ছিল একতরফা প্রেম। এটা বিদিশার বন্ধুরা বুঝতো আর তাঁকে সারাক্ষণ বোঝাত। কিন্তু তিনি সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতেন যে প্রেমিক তাঁকে ছেড়ে যেন চলে না যায়।
শেষমেষ বলেছিলেন “ও আমার হবে তো?” শেষের দিকে বন্ধুদেরকে ফোন করে কাঁদতেন বিদিশা। তারা বিষয়টা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিত। কারণ বন্ধুদের অনুমান যুবকটি নাকি অন্যান্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। বিদিশাও জানতেন সেটা। শেষমেষ বন্ধুদের আক্ষেপ এই যুবকের জন্যে মা বাবার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বিদিশার।
এভাবেই যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হয়ে উঠলেন পল্লবী এবং বিদিশা। দুজনেরই প্রেমিক অন্তপ্রাণ। শহরতলীর দুই মেয়েই গ্ল্যামার দুনিয়ার অংশ ছিলেন। দুই পরিবার প্রেমিকের কথা জানত। কিন্তু কতটা ঘনিষ্ঠতা? জানা যায়নি। দুজনেরই ঝগড়া প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু প্রেমিক দু’চারটে কথা বললেই গলে জল হয়ে যেতেন তাঁরা। নিয়তিও যেন মিলিয়ে দিল দুই বন্ধুকে।