সকালের জলখাবারে ছাতাবাড়ির টেবিল জমজমাট। পরিবারের সকলে মিলে একসঙ্গে খেতে বসেছে। স্টার জলসায় ( Star Jalsha ) নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’-এ ( Dui Shalik ) দেখা গেল এমনই দৃশ্য। আজ পাখির জন্মদিন। কিন্তু এ বাড়িতে যে অবহেলায় সে মানুষ হয়েছে তাতে তার জন্মদিন আর বাকি দিনগুলোর মতোই অন্ধকার ও বিভীষিকাময়।
দুই শালিক আজকের পর্ব ১লা অক্টোবর (Dui Shalik Today Episode 1st October)
এদিন বাড়িতে আসছে গৌরব। প্রিয়রঞ্জন কাঞ্জিলালের একমাত্র সন্তান। ছোটবেলায় গৌরবকে বোর্ডিং স্কুলে রেখে এসেছিল প্রিয়রঞ্জন । তারপর সে বিদেশ চলে যায়। এতবছর পর সে ফিরে আসছে তার মায়ের জন্য। নাহলে ছাতাবাড়িতে আসার কোনও অভিপ্রায় বা ইচ্ছে ছিল না। আর ফিরে আসতেই প্রথমে ঝিলিকের গাড়িতে ধাক্কা। তারপর বাবার কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনের সাক্ষী থাকল সে।
গরিবের সরকার, আইন, সুরক্ষা না থাকলেও আছে কিছু ‘মসিহা’। পি.আর.কে কোম্পানির শ্রমিকদের মসিহা দেবা। মেডিক্লেম এবং মাইনে বাড়ানোর জন্য যে শ্রমিকরা যে ন্যায্য আন্দোলনে নেমেছিল তখন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় দেবা। একটা শ্রমিকের গায়ে সে হাত তুলতে দেবে না। আর তখনই দেবার মুখোমুখি হয় গৌরব।
কোম্পানির শ্রমিকদের দাবিদাওয়া থাকবে। তার জন্য আলোচনা হবে। কারর গায়ে হাত তোলার পরিস্থিতি কেন তৈরি হবে? দেবার সামনে গিয়ে প্রশ্ন করে গৌরব। উত্তরে দেবা বলে, সে জানে না এই কোম্পানির বর্তমান পরিস্থিতি কী। তাই তার উচিত প্রত্যক্ষ ভাবে মানুষের দুঃখ-কষ্টগুলোকে দেখা।
আরও পড়ুনঃ ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে রেখে বাবা অন্যত্র সংসার পেতে ছিলেন বাবা বিশ্বজিৎ! অল্প বয়সেই, মায়ের কাঁধ হয়ে উঠেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
অপরদিকে, এদিন আঁখির আঠারো বছরের জন্মদিন। আর একবছর পর তার বাবার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি তার নামে হয়ে যাবে। তখন আর এই প্রিয়রঞ্জনকে আঁখির গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে না। উকিলবাবু এসে সেকথাই জানায় তাকে। তারপর আঁখিকে দেখে চলে যায়।