গামছা দিয়ে চুল, আয়নার সামনে কান্না! অভিনয় মানেই বাজে কাজ, কাছের লোকেদের থেকেই শুনতে হয়েছে কটাক্ষ, আজ অভিনয় পেশায় সফল দেবাদৃতা
দেবাদৃতা বসুর ( Debadrita Basu ) অভিনয় জীবন শুরু হয় নাট্যগোষ্ঠী ‘হ য ব র ল’ দিয়ে। আট বছর বয়সে প্রথম থিয়েটার নাটক “দ্রোহী চৈতন্য” উপস্থাপন করেন। এরপর তিনি টিভি ধারাবাহিকে কাজের সুযোগ পান এবং কলকাতার জি বাংলায় ‘জয়ী’ ( Joyee ) ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। স্কুল জীবনেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়েছিল।
২০১৮ সালে ‘জয়ী’ ধারাবাহিকে তাঁর সাফল্যের পর ২০১৯ সালে ‘আলোছায়া’তে কাজ শুরু করেন। এই ধারাবাহিক তাঁকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিলেও, এর পরে তাঁর পথচলা সহজ ছিল না। ‘আলোছায়া’র সাফল্যের পর দেবাদৃতাকে স্টার জলসার ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়া হয়। মীরার চরিত্রটি তাঁকে অভিনয় জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করালেও, ধারাবাহিকটি টিআরপি সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যা দেবাদৃতার জন্য এক বড় ধাক্কা ছিল।
এটি ছিল একটি সংকটময় সময়, কিন্তু দেবাদৃতা নিজের আত্মবিশ্বাস হারাননি। তিনি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আবার অভিনয়ে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেন। ২০২২ সালে সান বাংলার ‘আলোর ঠিকানা’ ধারাবাহিকে তাঁর কামব্যাক ঘটে। এই ধারাবাহিকটি দেবাদৃতার জন্য নতুন আশার আলো এনে দেয় এবং তাঁর অভিনয়ের জুটি জন ভট্টাচার্যের সাথে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। এই সফল কামব্যাকের মাধ্যমে তিনি আবার ছোট পর্দায় নিজের স্থান নিশ্চিত করেন।
দেবাদৃতার সংগ্রামের গল্প কেবল তাঁর অভিনয় জীবনের চিত্র তুলে ধরেনা, বরং এটি একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয়, যেখানে তাঁর সংগ্রামের অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের গল্পগুলি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ কবীরের ভাই-বোন আসছে! মহালয়ার পরদিনই ভক্ত অনুরাগীদের সুখবর দিলেন কোয়েল, আনন্দে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা
শোনা যাচ্ছে, তিনি সান বাংলার নতুন একটি ধারাবাহিকে আবারও ফিরে আসছেন, যা তাঁর অনুরাগীদের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ সংবাদ। দেবাদৃতা বসুর এই জয়যাত্রা বাংলা টেলিভিশনের জগতে একটি অনন্য উদাহরণ। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভব।