স্টার জলসার বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশে’ (Grihoprobesh) বর্তমান ট্রাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি শুভ ও আদৃতের(Subho-Adrit)প্রেম বেশ জমে উঠেছে। কিন্তু বরাবরের মতোই সেবন্তী, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে চলেছে। এরই মাঝে রোমিতের রেজাল্ট আউট ও ফেল করে যাওয়াতে তার বাড়ি ছাড়া সবটা নিয়েই জমে উঠেছে এই সিরিয়ালের গল্প। সিরিয়ালের আজকের পর্বে দেখা যাচ্ছে রোমিতের বাড়ি থেকে চলে যাওয়াতে ভেঙে পড়েছে রোমিতের মা।
সাথে ঠাম্মি দাদু সকলেই। তাদের সান্ত্বনা দিতে শুভ বলে, “তোমরা চিন্তা করোনা রোমিত ঠিক ফিরে আসবে। আসলে ও তো বড় হয়েছে ও বুঝতে পারে কখন কি করাটা উচিত হবে। ও ঠিক কিছু একটা ভালো করে আবার ফিরে আসবে”। এই কথা শুনে রোমিতের মা বলে, “তোর কথাই যেন সত্যি হয় শুভ। তোর জন্যই তো আমরা রোমিতকে ঘর থেকে বের করতে পারলাম”। এরপর ঠাম্মি, তুলি, শুভ সবাই মিলে একসাথে অনেক কথা বলতে থাকে।
সেবন্তী এইসব দেখে মনে মনে ভাবতে থাকে, একের পর এক সবাই তার দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এখন রঞ্জিনি ও তার দলে নেই কোন ভাবেই সে শুভকে জিততে দেবে না। তারপর সে শুভ কে বলে, “কি ভেবেছিস তুই আমার দল থেকে লোক নিয়ে একটু নিজের দল ভারী করবি? তুই কখনোই জিততে পারবি না!” উত্তরে শুভ বলে, “এসব কি বলছ তুমি? এটা তো পুরোটাই রায় পরিবার এখানে দল কোথা থেকে আসলো”এরপর দুজনের একটু কথা কাটাকাটি হয়। তারপর সেবন্তী শুভকে চড় মারতে হাত তোলে।
আরও পড়ুনঃ দেবার চ্যাপ্টার সারা জীবনের মতো ক্লোজ! আঁখি কি পারবে দেবাকে বাঁচাতে? জমজমাট পর্ব দুই শালিকে
শুভ হাতটা ধরে বলে, “এসব করোনা মা গায়ে হাত তোলা কিন্তু বাড়াবাড়ি, এই ভুল তুমি করোনা”। এরপর সেবন্তী সেখান দিয়ে চলে যায়। তারপর ঠাম্মি শুভকে বলে, “তুই কিছু মনে করিস না বড় বৌমা বরাবরই একপেশে”। তারপর দেখা যায় সবাই মিলে আবার গল্প করতে থাকে এবং কিছুক্ষণ পরে শুভ অদৃতের সাথে কথা বলতে ঘরে যায়।শুভ ঘরে গিয়ে কিছু কথা বলতেই যাবে এমন সময় তার মাথা ঘুরে যায় এবং গা গুলাতে শুরু করে।
শুভর এরম পরিস্থিতি দেখে অদৃত বলে, “কি যে করো না তুমি শুভ নিশ্চয় কিছু উল্টোপাল্টা খেয়েছ, দাঁড়াও আমি ঠাম্মির কাছে ওষুধ নিয়ে আসছি”। ঠাম্মিকে গিয়ে সবটা বলতেই সে ও আসে। তারপর অদৃত আবার বলে, “দখো না ঠাম্মি শুভর কি হয়েছে? প্রচন্ড বাড়াবাড়ি করে ও”। ঠাম্মি তখন বলে, “হ্যাঁ, বাড়াবাড়ি তো শুভ একটা করেছে” দিয়ে হাসতে থাকেন। তারপর শুভ আদৃতকে জড়িয়ে ধরে বলে তুমি বাবা হতে চলেছ! এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।
আজও বাবার কথা মনে করে ছেলে ওশ! কিন্তু কাঞ্চনের দাবি, শুধুমাত্র কন্যা সন্তানের বাবা সে! “আমি স্যাক্রিফাইস করি, কম্প্রোমাইজ না!” “বোধ না তৈরি হলে মানুষ হওয়া যায় না”— বাবার স্মৃতি ভুলিয়ে, ছেলেকে কীভাবে বড় করছেন জানালেন পিঙ্কি!