একরত্তি মেয়েকে সামলাতে নাজেহাল দশা দুর্জয়-রানীর! পর্দার পিছনে মেয়েকে কিভাবে সামলাচ্ছেন তারা? জানালেন অর্কপ্রভ

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক তোমাদের রাণীতে (Tomader Rani) এসেছে বিরাট চমক। মা হয়েছেন রানী। বিপদ থেকে বাঁচতে তারা পালায় জঙ্গলের দিকে কিন্তু সেখানেই হঠাৎ রানীর শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। ফলে জঙ্গলেই তারা জন্ম দেয় তাদের মেয়েকে। তারপরই শুরু হয়েছে রানীর আসল যুদ্ধ। মেয়েকে নিয়ে রানীকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে।

যদিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় পর ঘটে আরেক বিপত্তি। বাচ্চাটির শ্বাসক্রিয়া এবং হার্টবিট ধমে চলার কারণে খুব চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারে সকলে। কিন্তু রানীর কাছে যাওয়ার পরই শ্বাসক্রিয়া সাধারণ হয়ে যায় রানীর সন্তানের। তারপর শুক্লা সহ পরিবারের সকলে মিলে বাড়ি নিয়ে আসে রানী এবং তার সন্তানকে। এদিকে রানীর পরীক্ষা চলে এসেছে সামনে। পড়াশোনা এবং সন্তান দুটোকেই সমানভাবে সামলানোর চেষ্টা করতে থাকে রানী।

তবে রানীর পরীক্ষার দিন খুব কান্নাকাটি করতে থাকে তার মেয়ে। ফলেই মেয়েকে নিয়েই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রানী। এইসব মিলিয়ে জমজমাট ধারাবাহিকের কাহিনী। সম্প্রতি পয়লা বৈশাখে জল জল থই থই ভালোবাসার অনুষ্ঠানে গেছিলেন রানী দুর্জয়। সেখানেই তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে তারা জানিয়েছেন কিভাবে একটা বাচ্চার সঙ্গে শুটিং করছেন তারা। দুর্জয় অর্থাৎ অভিনেতা অর্কপ্রভ জানিয়েছেন “বিষয়টা সত্যিই খুবই কঠিন। এখন আমার তিনটে মা। সবটা সামলাতে হচ্ছে। তবে আমি বাচ্চাদের সামলাতে পারি ভালোই।”

অভিনেতা এও জানিয়েছেন “একদম পুচকু ও। তাই ওর ইচ্ছে অনুযায়ী শুটিং করতে হচ্ছে। এরকম হয়েছে ওর কান্না কোনোভাবেই থামছে না কিন্তু কাট বলার সঙ্গে সঙ্গেই চুপ হয়ে গেল। আবার এরকমও হয়েছে যেই সময় ওর কান্নাকাটি করার সেই সময়ই কেঁদেছে। তবে এখন দুটো পুচকু কি সামলাতে হচ্ছে।” রানী অর্থাৎ অভিনেত্রী অভিকা বলেছেন “ওর ধরো ঘুমের শট রয়েছে তখন সেটে একেবারে পেন ড্রপ সাইলেস। যেটা আমাদের সেটে কখনও হত না।”

অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন “যদিও আমি খুব কম ওকে নিই। বেশিরভাগ দুর্জয়ের কাছেই থাকে। আমার বাড়ির লোক বলছে তুই ছোট ওকে কি করে সামলাবি। দেখিস পড়ে না যায়। এখন আমাদের ওর ইচ্ছে অনুযায়ী শুটিং করতে হচ্ছে। তবে লোকেরা যে এত ভালোভাবে সবটা নিচ্ছে সেটাই ভালো লাগছে। প্রথম ধারাবাহিকে এতটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র ভালো করতে পারছে সেটাই বড় কথা। এখন বুঝতে পারছি মা হওয়া কতটা কঠিন।” তবে অভিনেতা অর্কপ্রভ বলেছেন “অনেকেই বলছে দুর্জয় গাইনো না হয়ে কিভাবে বাচ্চার জন্ম দিল। তাদের বলি আগেকার দিনে এত ডাক্তার ছিল না। তখন বাড়ির কাকিমারা, ঠাকুমার সবটা করতেন কিছুক্ষেত্রে ছেলেরাও। পড়াশোনা জানলে সব হয়।”

আরো পড়ুন: দারুণ অভিনয়ে মন জিতে ছিলেন দর্শকদের! কোথায় হারিয়ে গেলেন একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোমাশ্রী চাকি? জানালেন নিজের মুখে

যদিও অভিনেত্রী বলছেন “প্রেগন্যান্সি দেখাতে ওসব পড়তে হবেনা এটাই শান্তি।” প্রসঙ্গ সূত্রে জানিয়ে রাখি, জল থই থই ভালোবাসা পয়লা বৈশাখে রানী আর দুর্জয় নাচ করতে চলেছেন এই পথ যদি না শেষ হয় গানে। তারা জানিয়েছেন তারা তাদের সাধ মতো চেষ্টা করেছেন সবটা করার। তাহলে আপনাদের রানী কেমন লাগে?