স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “কথা” (Kothha) দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই সিরিয়ালে পারিবারিক ও রোমান্টিক জটিলতা, সামাজিক বার্তা ও ভালোবাসার গল্পের মেলবন্ধন দেখা যায়। প্রধান চরিত্রদের অনন্য কেমিস্ট্রি এবং নাটকীয় মোড় প্রতিটি পর্বকে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। ধারাবাহিকটি প্রতিবার নতুন মোড়ে দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
আজকের পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি কর্তাদিদা ও কর্তাদাদুর বিবাহবার্ষিকী নিয়ে বাড়ির সবাই ব্যস্ত এমন সময় চিত্রা সাধু বাবার বেশি তিলককে বাড়িতে নিয়ে আসে। সবাই তাকে দেখে চমকে গেলে চিত্রা বলে, “একজন সিদ্ধ পুরুষ বাড়ির বাইরে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দেখে খারাপ লাগলো তাই নিয়ে আসলাম।” কেউ তিলককে চিনতে পারেনা উল্টে সবাই প্রণাম করতে যায়।
প্রণাম করতে গেলে অনিকেতের হাতের ঘড়ি ছলেবলে খুলে নায়ে তিলক। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করে, “তোমার হাতের ঘড়ি কোথায়?” সে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকলে তিলক নিজের থেকেই ঘড়িটা বার করে দেয় এবং বলে, “নিজের জিনিসের খেয়াল রাখো এভাবে সব হারিয়ে গেলে কি হবে?” এভাবে তিলক সবাইকে বিশ্বাস করাতে থাকে যে সে একজন সত্যিই সাধু। দাদুকে গিয়ে তিলক বলে, “আপনার সুসময় আসতে চলেছে। আপনি যা করছেন তাতে আপনি ফল পাবেন।”
সব ঘটনা দেখে অগ্নি বলে, “বাড়িতে অনেক বাইরের লোক চলে এসেছে, কখন কোথা থেকে কি হয়ে যাবে বোঝা যাবে না। আমার এই ব্যাপারটা ভালো লাগছে না।” এরপর চিত্রা বলে, “রাত্রেবেলা সাধু বাবা কে কি বাড়িতে থাকতে দিলে হয় না?” কর্তাদিদা বলেন, “উনি একজন সিদ্ধ পুরুষ এত রাতে বাড়ির বাইরে গেলে অমঙ্গল হবে। উনি আজকে এখানেই থাকুন।” সবাই এরপর নিজের ঘরে চলে যায়।
অন্যদিকে চিত্রা তিলককে নিয়ে ঘরে যায়। তিলককে সে বলে, “সাবধানে থাকতে হবে ধরা পড়ে গেলে এইবার আর বাঁচতে পারব না”। তিলক তাকে বলে, “সন্ধ্যে হলেই আমার একটু ঢুকুঢুকু লাগে, ওটা ছাড়া আমার চলে না”। চিত্রা বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে চলে যায়। এরপর হিন্দি গান চালিয়ে তিলক আসর জমিয়ে বসে। ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কথা শুনতে পায় হিন্দি গানের শব্দ আসছে সাধু বাবার ঘর থেকে।
আরও পড়ুনঃ দেশে ফিরতেই দুর্ঘটনার কবলে আদৃত! কি করবে এবার শুভ? ‘গৃহপ্রবেশ’-এর আজকের পর্ব জমাটি
সে ঘরের দরজা খোলার আগেই তিলক সবকিছু সরিয়ে ফেলে এবং কথা কে দেখে সে বিরক্ত হয়। কথা ক্ষমা চেয়ে বলে আমি ভুল করে চলে এসেছি কিন্তু তিলক বলে সে তাকে সন্দেহ করে এই ঘরে এসেছে। কথা লক্ষ্য করে সাধুর গলায় একটা জরুলের দাগ রয়েছে। সে বুঝতে পারে না এই দাগ সে কোথায় দেখেছে এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।কথা ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় ভাবতে থাকে দাদু ও দিদার জন্য কালকের দিনটা বিশেষ। তাই এইসব ভুলভাল চিন্তা করে সময় কাটালে হবে না।
অন্যদিকে চিত্রা ঘরে এসে তিলককে বোঝাতে থাকে সবাই যখন দাদু দিদার বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তখন সে যেন অগ্নির ঘরে গিয়ে আলমারি থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ছড়িয়ে ফেলে। তাদের কথা শেষ হতে না হতেই সেখানে কথা উপস্থিত হয় এবং তাকে দেখে চিত্রা ভয় পেতে শুরু করে। এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।