বাংলা ধারাবাহিকের জগতে লেখিকা ‘লীনা গাঙ্গুলি’ (Leena Ganguly) এক বিখ্যাত নাম। ‘ইষ্টি কুটুম’, ‘ইচ্ছে নদী’, ‘শ্রীময়ী’ থেকে ‘জলনূপুর’, তাঁর লেখা প্রতিটি ধারাবাহিক একটা সময়ে লাগাতার টিআরপির (TRP) শীর্ষে থেকেছে। শুধু বাংলা নয়, হিন্দি ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও লীনার লেখা সংলাপ যথেষ্ট জনপ্রিয়। কিন্তু এই জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তাকে সহ্য করতে হয়েছে ট্রোল ও সমালোচনা (Criticism)। বারবার নিন্দুকেরা তার সংলাপ লেখার ধরণ, চরিত্রের গঠন, কিংবা গল্পের মোড় নিয়ে কটাক্ষ করেছে।
একের পর এক ধারাবাহিক হিট দেওয়ার পরেও কেন লীনা গাঙ্গুলিকে নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি হয়? উত্তর অনেক সময়েই লুকিয়ে থাকে তার লেখার সাহসী ভাবনায়। লীনা গাঙ্গুলি চিরকালই গল্পে বাস্তবকে তুলে ধরেছেন, আর তাতেই কখনও দর্শক মুগ্ধ, কখনও বিতর্কে উত্তাল। তবে নিজের অবস্থান থেকে এক চুল নড়েননি তিনি। বরং নিজের লেখার প্রতি আস্থা রেখেই এগিয়ে চলেছেন।
সাম্প্রতিক তাঁর ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই ধারাবাহিকটিকে ‘পরকীয়া’য় ভরা বলে দাবি করছেন। কিন্তু লীনা গাঙ্গুলি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সমালোচনার ভেতরে থেকেও তিনি কোনওদিন আপস করেননি, আর করবেনও না নিজের লেখা নিয়ে। তিনি বলেন, “আমি যে ধরনের কাজ করেছি, তার বাইরে গিয়ে কৃত্রিম কিছু বানাতে পারব না। তাতে যদি দর্শক কমে যায়, তাও সমস্যা নেই।
বরং আমি এমন কাজ করতে চাই যা মানুষের ভেতরের কোথাও না কোথাও নাড়া দেয়।” ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের গল্পে সম্পর্কের গভীরতা আর মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে সম্পর্কগুলো বেশি প্রয়োজন, তাকে কেন্দ্র করে যে টানাপোড়েন দেখানো হচ্ছে, তা কোনও ‘অবৈধ সম্পর্ক’ বিজ্ঞাপন নয়, এ কথাটাই বারবার বোঝাতে চাইছেন লেখিকা। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “মানুষের জীবনে কিছু সম্পর্ক এমন থাকে, যেখানে সব কিছু ঠিক থাকার পরেও প্রাণ থাকে না।
আরও পড়ুনঃ বিচ্ছেদের পর আবার প্রেমে পড়লেন ইপ্সিতা! প্রেমের গুঞ্জনে নাম জড়ালো ইন্দ্রাশিসের!ইপ্সিতা-ইন্দ্রাশিসের ঘনিষ্ঠতা ঘিরে জল্পনা শুরু! প্রেমের গুঞ্জনে বিরক্ত ইপ্সিতা কি বললেন?
সেই প্রাণটাই যদি কেউ ফিরিয়ে দিতে পারে, সেটা কি অপরাধ?” এই বক্তব্যেই তিন স্পষ্ট করেছেন, সম্পর্ক নিয়ে তার ভাবনা অন্যদের থেকে আলাদা। এই প্রজন্মের লেখকদের কাছে লীনা গাঙ্গুলি যেন এক প্রতিষ্ঠান। ট্রোল, সমালোচনা, বিতর্ক, এই শব্দগুলো তার কাছে নতুন নয়। তবুও তিনি বিশ্বাস করেন, ভাল কাজই শেষ কথা। আর সেই কাজ যদি মানুষের মনে প্রশ্ন তোলে, সেটা সমালোচনা নয়, সেটা লেখকের জয়।