পর্ণার চালে কুপোকাত নবনীতা! নিজে এসে স্বসম্মানে বর্ষাকে নিয়ে গেলেন বাড়িতে! কী হবে এবার?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu)। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে বর্ষাকে নিজের মনের কথা বলে দিয়েছে পিকলু। বর্ষাকে পিকলু বলে সে বর্ষাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। এই বলে বর্ষার হাত ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে বেরোতে যাওয়ার সময় ঘরে চলে আসে পর্ণা। পর্ণা বর্ষাকে বলে তার শশুরবাড়ি থেকে তাকে নিতে এসেছে।

এই কথা শুনে কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় বর্ষা। তখন পর্ণা পিকলুকে বলে সে যেটা করছিল সেটা একদমই ভুল। সে নিজের দোষে বর্ষাকে হারিয়েছে। এখন বর্ষা অর্ণবের স্ত্রী। তাই সেটা এখন তাকে মেনে নিতেই হবে। এই কথা শুনে পিকলু পর্ণাকে বলে বর্ষা অর্ণবকে বিয়ে করে সুখী নয়। অর্ণবের পরিবার আর অর্ণব নিজেও ভালো নয়। তখন পর্ণা বলে বর্ষা ভালো মেয়ে, বুদ্ধিমতি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও ঠিক নিজেকে ওনাদের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। তবে পিকলুকে বর্ষার জীবন থেকে চলে যেতে হবে।

এই বলেই চলে যায় পর্ণা। বর্ষাকে নিতে দত্ত বাড়িতে চলে আসেন মৃত্যুঞ্জয় বাবু এবং অর্ণবের বোন। তারা গিয়ে বলেন অনেক কিছু হয়ে গেছে তিনি জানেন। কিন্তু যা যা হয়েছে তার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থী। তিনি চান বর্ষাকে তার সঙ্গে নিয়ে যেতে। তখন কৃষ্ণা বলে তিনি এখনই বর্ষাকে তৈরি করে নিয়ে আসছেন। কিন্তু পর্ণা বাধা দিয়ে বলে তার বাবা মায়ের অনেক অপমান করা হয়েছে ওই বাড়িতে। তাই অর্ণবের মা না এলে সে বর্ষাকে নিয়ে যেতে দেবে না।

তখন অর্ণবের বোন বলে তার মা আর দাদা এসেছে কিন্তু তারা গাড়িতে বসে আছে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু এরপর ফোন করে তাদের ডেকে নিয়ে আসেন। নবনীতা আসেই বলেন তিনি তার বউমাকে নিয়ে যেতে চান। তারপর পর্ণার দিকে একটি তীক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে বলেন বর্ষাকে যেতে দিতে। কৃষ্ণাও বর্ষাকে সাজিয়ে নিয়ে আসে। এই সবটা পিকলু সহ্য করতে না পারার কারণে চলে যায় সেখান থেকে। ওদিকে বর্ষাও খুব কান্নাকাটি করতে থাকে। অখিলেশ দত্ত এবং অমিবাবুও খুবই ভেঙে পড়েছেন। এরপর কনকাঞ্জলীর সময় বর্ষা জানিয়ে দেয় সে কনকাঞ্জলী দেবে না। কারণ সে এটা বিশ্বাস করে এক মুঠো চালে বাবা মায়ের ঋণ শোধ হয়না।

আরও পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়ায় মহা ধামাকা পর্ব! মুখোশ খুলল ‘পৃথা’র! অর্জুনের মা অপর্ণা! টাকার লোভে পৃথা মা হওয়ার নাটক করছে, ফাঁস করল খোকা

তারপরই বর্ষাকে নিয়ে চলে যান নবনীতা। রাস্তায় বর্ষা কান্নাকাটি করছে দেখে নবনীতা তাকে কান্নাকাটি করতে বারণ করে। বর্ষা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে থাকে গাড়িতে। ওদিকে দত্ত বাড়িতে সৃজন পর্ণাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে সে কি করছে। কৃষ্ণাও খানিকটা অবাক হয়ে যায়। তখন পর্ণা তাদের সবটা খুলে বলে। পর্ণা বলে এই সবটা সে সুনিতা ম্যাডামের সাহায্যে করছে। কিন্তু পর্ণার এই সব কথা শুনে নেয় অয়ন মৌমিতা। মৌমিতা বলে এই সব কথা নবনীতাকে জানাতে হবে। তাহলে কি বর্ষার সংসার ভেঙে দেওয়ার নতুন ফন্দি আঁটবে অয়ন মৌমিতা? আপনাদের কি মনে হয়?