এক সময় যাঁরা সন্ধ্যা নামলেই ঘরে ঘরে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন, সেই সব প্রিয় অভিনেত্রীরা আবারও একে একে ফিরছেন ছোটপর্দায়, আরও স্পষ্ট করে বললে ‘স্টার জলসা’র (Star Jalsha) পর্দায়। দীর্ঘ সময় পর ‘ইষ্টি কুটুম’-এর বাহা, অর্থাৎ ‘রণিতা দাস’কে দেখা যাচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘ও মোর দরদিয়া’-তে। প্রায় বারো বছর পর টিভির পর্দায় ফেরা রণিতাকে দর্শকেরা ভীষণ আপন করে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। আসলে, পরিচিত মুখকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাওয়ার একটা আলাদা আনন্দ তো থেকেই যায়।
আর শুধু রণিতা নন, অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীরাই এখন আবার স্টার জলসায় ফিরে আসছেন। আগের মত, পুরনো দিনের জলসার গন্ধ নিয়ে! ‘ইচ্ছে নদী’ ধারাবাহিকের মেঘলা চরিত্রে হোক বা ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকের খড়ি, সেই শোলাঙ্কি রায় এবার ফিরেছেন ‘এলা ও গোরার গল্প’ নামের এক নতুন ধারাবাহিকে। নতুন এই ধারাবাহিক নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। একদিকে নতুন গল্প, অন্যদিকে চেনা মুখ— ফের একবার মানুষের মন জয় করার সম্ভাবনা কিন্তু বেশি।
এদিকে জনপ্রিয় ‘কেয়ার করি না’ বা ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’র পাখি, মানে মধুমিতা সরকারও নতুন ধারাবাহিকে ফিরেছেন, যার নাম ‘ভোলেবাবা পার করেগা’। এক সময় এই চরিত্রগুলো যে ঘরোয়া জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছিল, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই মধুমিতার ফিরে আসাও একটা ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মধ্যে। আর স্বস্তিকা দত্ত, যিনি ‘ভজ গোবিন্দ’-তে ডালির চরিত্রে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন, তাঁরও শিগগিরই নতুন একটি ধারাবাহিকে কাজ শুরু করার কথা শোনা যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট, দর্শকরা যেন আবার পুরনো সেই ‘স্টার জলসা’র জাদু ফিরে পেতে চাইছেন। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, “জলসার কন্যারা ফিরলে, জলসাও আবার নিজের জায়গায় ফিরে আসবে।” কেউ কেউ এমনও মত দিচ্ছেন, যে ঠিকমতো প্রোমোশন হলে, টিআরপি তালিকা থেকে এবারও জি বাংলার একচেটিয়া আধিপত্যে ভাঙন ধরতেও দেরি হবে না। আসলে, দর্শকের ভালোবাসা আর টান আজও সেই আগের মতোই আছে। শুধু দরকার ছিল সেই পরিচিত মুখগুলোর ফেরার।
আরও পড়ুনঃ “বাংলা ছবি হচ্ছে, ব্যবসাও করছে, কিন্তু বাঙালিয়ানা কোথায়?”—আক্ষেপ রঞ্জিত মল্লিকের! ১৬ বছর পর ‘স্বার্থপর’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শক মহলে অভিনেতা কি পারবেন বাংলা সিনেমার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে?
এমনকি যাঁরা টিভি দেখা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন, তাঁরাও বলছেন, “ঠিক যেন ছোটবেলার দিনগুলো ফিরে আসছে।” একটা সময় স্টার জলসার ধারাবাহিকগুলো ছিল নস্ট্যালজিয়ার মতো, এখন আবার সেই ঘরোয়া অনুভূতিই ফিরে আসছে সবার মনে। ছোটপর্দার এই নান্দনিক পরিবর্তন শুধু বিনোদনের দিক দিয়েই নয়, আবেগের জায়গা থেকেও দর্শকদের স্পর্শ করছে। যেটা আসলে বাংলা টেলিভিশনের ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়েছে।