জি বাংলার ( Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুলের জীবনে নেমে এসেছে ঘন কালো মেঘ। সমস্যা যেন তার পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। আমরা দেখেই ছিলাম পরাগকে বিষ খাওয়ানোর দোষে গ্রেফতার হয়েছিল শিমুল। তারপরই কোর্টে ওঠে তার কেস। প্রথমদিনই মধুবালা দেবী জানান শিমুল ভালো মেয়ে কিন্তু তিনি জানেন না শিমুল এই কাজ কেন করেছে? যদিও পরে কাকিমা, বিপাশা এবং পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান যে শিমুল নির্দোষ।
তারপরই পুনরায় তদন্ত করে পুলিশ। মধুবালা দেবীও বুঝতে পারে প্রতীক্ষা ভালো মেয়ে নয়। পুতুলও তার মাকে জানায় যে প্রতীক্ষারা লুকিয়ে লুকিয়ে ফল খায় কিন্তু তার এই অবস্থা হওয়ার শর্তেও তার দেখাশোনা করে না। তবে শুধু তাই নয়, মধুবালা দেবীকেও বাড়ির কাজের মেয়ের মতো ব্যবহার করে সে। প্রতীক্ষা মনে মনে ভাবে যদি পুতুল মরে যায় এবং মধুবালা দেবীকে বাড়ি ছাড়া করা যায় তাহলে সব তাই হবে।
তবে সত্যের এক অদ্ভুত গুণ রয়েছে। সেটা সকলের সামনে আসেই। তাই হল প্রতীক্ষার সঙ্গেও। শেষ শুনানির দিন শিমুলকে আরাধনা বলে তার মনের জোর হারলে চলবে না প্রয়োজনে তারা হাই কোর্টে যাবে। ওদিকে অনির্বাণ পরাগ, প্রতীক্ষা আর পলাশকে জানিয়ে দেয় তার আর কিছু করার নেই। তারা সকলেই অনির্বাণের থেকে সত্য গোপন করেছিল। তাই তার ফল সকলকে পেতেই হবে। যে দোষী সে শাস্তি পাবে। একথা শুনে ঘাবড়ে যায় প্রতীক্ষা।
তারপর কোর্ট শুরু হয় জর্জ সাহেব জানিয়ে দেন শিমুল নির্দোষ। পরাগ, পলাশ আর প্রতীক্ষা তার ওপর অত্যাচার করেছে। আর পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হয় প্রতীক্ষাকে। সেই কথা শুনে খুব খুশি হয় শিমুলের বান্ধবীরা আর শতদ্রু। কিন্তু পলাশের মাথায় নেমে আসে চিন্তার ভাঁজ। কি করে এখন সে ছাড়াবে প্রতীক্ষাকে? সেই কথা ভেবেই নিয়ে যাওয়ার পর ভেঙে পরে পলাশ। কি করে প্রতীক্ষাকে ছাড়াবে সে এই চিন্তাই করতে থাকে।
তারপর পলাশ পরাগকে বলে প্রতীক্ষা যা করেছে পরাগের ভালোর জন্য কারণ তাকে বিষ খাওয়ানোর জন্য শিমুল জেলে গেলে তারাই বেঁচে যেত। এইসব বলার পর সে পরাগের কাছে টাকা চায় প্রতীক্ষাকে ছাড়ানোর জন্য হাই কোর্টে আবেদন করবে বলে। তার জন্য ভালো উকিলেরও প্রয়োজন। তবে সেই কথা শুনে পরাগ বলে তার সব টাকা উকিলের কাছেই চলে গেছে তাই তার কাছে আর টাকা নেই। আর একটা বছরের তো ব্যাপার তার পরই তো প্রতীক্ষা বেরিয়ে আসবে।
সেই কথা শুনে রেগে যায় পলাশ। ওদিকে শিমুলের খবর দেখে রূপরেখা। সে জানতে পারে শিমুল ছাড়া পেয়ে গেছে। প্রতীক্ষাকে জেলে নিয়ে যেতে দেখতে সে ভাবে প্রতীক্ষা তার কাজে আসতে পারে তখন সে পলাশকে ফোন করে বলে প্রতীক্ষাকে জেল থেকে ছাড়ানোর টাকা সব সে দেবে। পলাশ কারণ জানতে চাইলে সে বলে কারণ তাদের দুজনেরই শত্রু শিমুল আর শতদ্রু। তাই সেও চায় তারা যেন সুখী থাকতে না পারে। তবে কি করতে চলেছে রূপরেখা? সে কি ক্ষতি করবে শিমুলের?