পর্দার আড়ালে অনেকেই চেনেন তাঁকে, আবার অনেকে চিনেছেন একেবারে টেলিভিশনের হাত ধরে। ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ের জগতে প্রথম পা রেখেছিলেন সায়ক চক্রবর্তী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। আর এখন শুধু ছোটপর্দার চরিত্র নয়, সামাজিক মাধ্যমেও তাঁর ভক্তসংখ্যা নেহাত কম নয়।
বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘তুই আমার হিরো’-তে অভিনয় করছেন সায়ক। এখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে নায়ক শাক্যজিতের ভাইয়ের চরিত্রে। ধারাবাহিকের গল্পে একসময় অনুরাধা মুখোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রের প্রেমে পড়তে দেখা যায় সায়ককে। গল্পের মোড়ে প্রথমে বাধা এলেও, শেষ পর্যন্ত বিয়ের পরিণতিতে পৌঁছায় সেই প্রেম। দর্শকরাও এই কেমিস্ট্রিকে প্রথমে দারুণভাবে গ্রহণ করেছিলেন।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি সায়কের চরিত্র। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেছে সমকামী চরিত্রে অভিনয় করতে। টেলিভিশনের পর্দায় এই ধরনের চরিত্র সবসময় সহজভাবে ধরা পড়ে না। আর সেই কারণেই অনেক দর্শককে ভাবিয়েছে সায়কের এই সাহসী পদক্ষেপ।
কিন্তু সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না তাঁর। নেটপাড়ার অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “এই লেডিস টা কে কেন যে অ্যাক্টিং দেয় বুঝি না, ফালতু একদম।” আবার কেউ লিখেছেন, “ছেলেটার অভিনয় একেবারেই সহ্য হয় না, সাধারণ অভিনয়ও না।” এমনকি অনেকে একেবারে সোজাসাপটা মন্তব্য করেছেন— “খুবই জঘন্য অভিনয়।” এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য ক্রমেই ভরে উঠছে কমেন্ট সেকশন।
আরও পড়ুনঃ “বাবিলের থেকে বুবলাই অনেক ভালো, বাবিল একটা শিয়াল, মিটিলের সঙ্গে প্রতা’রণা করবে!”— বাবিলের বিদেশ যাওয়া ঘিরে শোরগোল, মিটিলকে নিয়ে দর্শকদের উদ্বেগ তুঙ্গে! ‘চিরসখা’-তে বাবিলের রং বদলের ইঙ্গিত, তবে কি সত্যিই বদলে যাবে বাবিল? কী মনে হয় আপনাদের?
তবে অন্যদিকে একটা বড় অংশের দর্শক মনে করছেন, সমালোচনা সত্ত্বেও চরিত্রের জন্য সায়কের প্রচেষ্টা অস্বীকার করা যায় না। সাহস নিয়ে এমন চ্যালেঞ্জিং ভূমিকায় আসা সহজ নয়। কারও কারও মতে, অভিনয়ে আরও উন্নতি প্রয়োজন হলেও সায়কের এই নতুন দিকটা বাংলা ধারাবাহিককে ভিন্ন স্বাদ দিচ্ছে।