টি আর পির চক্করে কত ধারাবাহিককে তার মোড় ঘুরিয়ে ফেলতে হয়। আর শুধুমাত্র সেই কারণে যেন সমীকরণগুলোও সব পাল্টে যায়। আর সেই গল্পের প্লট যেন ঘুরে ফিরে একইরকম হয়ে যায় কিন্তু একটু আলাদা আন্দাজে। যেমনটা দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার মেয়েবেলা ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকেও একটা ত্রিকোণ প্রেমের ধরন দেখা যাচ্ছে কিন্তু অন্যরকম ভাবে।
যথারীতি দেখা গিয়েছে গল্পের নায়ক ডোডো একটি স্ক্যামে ফেঁসে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার জালে ফেঁসে গেছে। আর গল্পের আরও টুইস্টের খাতিরে তাঁকে বাড়িওয়ালার মেয়ে মৌয়ের সঙ্গে বিয়ে করতে হয়। আর এই বিয়ের জন্য ডোডোর সঙ্গে তার প্রেমিকা চাঁদনীর দীর্ঘ ১২ বছরের প্রেমকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁকে বিয়ে করতে হয়।
তবে এসব কিছুর মাঝে লোন নিয়ে ২ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেন চাঁদনি।এদিকে ডোডো ঠিক করেছে সে টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু এর মাঝে দেখা যাচ্ছে একটু ত্রিকোণ প্রেমের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আর এতেই যেন সেই একই দিকে গল্প ঘুরে ফিরে সেই একই ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও এই ধারাবাহিকে উঠে আসছে মহিলাদের নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝির সম্পর্ক। পরিস্থিতি যেন বার বার ঘুরে ফিরে অন্যদিকে ইশারা করে। কাউকেই কারোর সঙ্গে মানিয়ে থাকতে দেয়না। ডোডোর মায়ের মৌকে একদমই পছন্দ নয়। কারণ যদিও মৌ নয়, মৌ এর মা। এককালে মৌ এর মা ও ডোডোর মা খুব ভালো বন্ধু ছিল। কিন্তু ওই পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
এদিকে মৌ এর মেসো একপ্রকার ঘাড় থেকে মৌকে নামাতেই এই বিয়ের শর্ত দেয়। আর সেই অনুযায়ী একটি সই করে আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানও ঠিক হয়। চাঁদনী কিন্তু সবটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করছে। আর সেই অনুযায়ী ভালো মন থেকেই সে বিয়ের দিন মৌকে একটি হার পরিয়ে দিতে যায়।
কিন্তু মৌ বলে, যেটা তার নয় তাতে সে অধিকারও বসাবে না। আর তারপরই সেখান থেকে চলে যায় চাঁদনী। কিন্তু চাঁদনীকে একা ছেড়ে দিতে চায় না ডোডোর মা। তাই ডোডো তাকে গাড়ি করে ছেড়ে দিতে যায়। ওদিকে মণ্ডপে একা বসে মৌ। শুভ লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে। আর এর মাঝেই গাড়িতে অজ্ঞান হয়ে যায় চাঁদনী। এটা কি ইচ্ছে করেই করল, যাতে শুভ লগ্ন পেরিয়ে যায়? এবার কি তাহলে ভিলেনের ভূমিকায় দেখা যাবে চাঁদনীকে! ওদিকে মৌ যে অভাগী একটা মেয়ে। কিছুই পায়নি ছোটও থেকে। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই ডামাডোলে দর্শকরা। কাকে ছেড়ে কার ওপর মায়া করবে!